পিঙ্ক টেস্টের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার নামেই

অ্যাডিলেডেও কি পারথের পুনরাবৃত্তি হবে? এখনও অবধি তার গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে। কিছুটা মিল রয়েছে। অনেকটা অমিল। পারথে প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৫০ রানেই অলআউট হয়েছিল। যদিও জসপ্রীত বুমরার প্রথম স্পেল এবং দিন শেষের স্পেল অস্ট্রেলিয়াকে চরম বেকায়দায় ফেলেছিল। এখানে অবশ্য তা হয়নি। বরং প্রথম দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়াই। গোলাপি বলে সবচেয়ে কঠিন কাজ, গোধূলীর সময় ব্যাটিং। সেই সুযোগটা ছিল ভারতীয় বোলারদের সামনে। জসপ্রীত বুমরা ফিরিয়েছিলেন উসমান খোয়াজাকে। কিন্তু এরপর আর কোনও ড্যামেজ হয়নি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় ভারতীয় শিবির।

ভারতের ‘লাকি’ ডে হতে পারত। লোকেশ রাহুলের উইকেট নিয়ে ভাগ্যের সঙ্গ মিলেছিল দু-বার। ঋষভ পন্থেরও ক্যাচ ড্রপ হয়। তাতেও অবশ্য বিশাল স্কোর হল না প্রথম ইনিংসে। সুপার স্টাররা প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। ভারত আবারও ১৫০-র মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, এরকম পরিস্থিতিও তৈরি হল। তরুণ অলরাউন্ডার নীতীশ রেড্ডির ক্যামিও ইনিংস ভারতকে স্বস্তি দেয়। ৫৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন নীতীশ। এটিই সর্বাধিক স্কোর। ভারতের ইনিংস শেষ ১৮০ রানেই।

অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছে, লাইটের দিক থেকে কঠিন সময়ের শুরু। কিন্তু উসমান খোয়াজার উইকেট ছাড়া আর কিছু মেলেনি। কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অজি ওপেনার নাথান ম্যাকসোয়েনি, ফর্ম খুঁজে বেড়ানো মার্নাস লাবুশেন ধৈর্যের পরীক্ষা দেন। জসপ্রীত বুমরার ওভারগুলো কাটিয়ে দিলে ভারতীয় শিবির যে পাল্টা চাপে পড়বে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। মহম্মদ সিরাজ গোলাপি বলে লাইন-লেন্থ খুঁজে গেলেন।

শেষ সেশনে ২৩ ওভার খেলা হল। এর মধ্যে রান উঠেছে ৮২। উইকেট পড়েছে ৪টি। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাত্র একটি উইকেট। ওভার প্রতি রান উঠেছে ৩.৫৭। প্রথম দিনের শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ব্যাটিং লাইন আপের গভীরতা অনেক। পাঁচ বোলার ব্য়বহার করে আপাতত ভারতের ঝুলিতে ১ উইকেট। অজিরা এখনও পিছিয়ে ৯৪ রানে। তবে কোনও ভাবে অস্ট্রেলিয়ার লিড প্রথম ইনিংসে ১০০ ছাপিয়ে গেলে ভারতের কাজ কঠিন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + fifteen =