পারথে বড় জয়ের পথে এগোচ্ছে টিম ইন্ডিয়া

অস্ট্রেলিয়াকে বড় টার্গেট দেওয়ার লক্ষ্যে আগেই এগোচ্ছিল টিম ইন্ডিয়া। ৫৩৩ রানের লিড নিয়ে বল করতে নেমে পারথে তৃতীয় দিনের শেষে বুমরা ম্যাজিক। ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনি এবং মার্নাস লাবুশেনকে আউট করে বড় জয়ের পথে এগোচ্ছে ভারত। সিরাজের বলে আউট হয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১২ রানে তিন উইকেট। এদিন শুরু থেকেই ভারত এগিয়ে ছিল। যত বেলা গড়িয়েছে আরও চাপ বেড়েছে কামিন্সদের মাথায়।
মাঝে পরপর ঋষভ,জুড়েলকে আউট করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও ওয়াশিংটন এবং বিরাটের পার্টনারশিপে ফের ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যায় তারা। শেষবেলায় যথেষ্ট ক্লান্ত দেখিয়েছে অজিদের। সেই সুবিধা নিয়েই আধঘণ্টার খেলায় দুই অজি ব্যাটার এবং অধিনায়ককে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সোমবার প্রথম এক ঘণ্টায় ভাল বল করতে পারলে জয় একপ্রকার নিশ্চিত বুমরাদের। স্টিভ স্মিথ এবং ট্র্যাভিস হেডকে আউট করতে পারলে খেলা সোমবারই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা। এদিন জয়সওয়াল এবং কোহলির শতরানেই এগিয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
১৬১ রানে থামেন যশস্বী। রান পাননি পন্থ আর জুড়েল। সেই সময় নেমে হাল ধরেন ওয়াশিংটন। সঙ্গে ছিলেন বিরাট। দিনের তৃতীয় সেশন পর্যন্ত তাঁরা ব্যাট করেন। স্যর ডনের দেশে বিরাট ফিরলেন রাজার মতো। এই জন্যই তিনি কিং কোহলি। তাঁর একসময়ের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী মিচেল জনসন কোহলির কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। বিরাটের শাপমুক্তি ঘটল। এক সেঞ্চুরিতে জনসনের ইচ্ছাপূরণ করলেন, নিন্দুকদের থামালেন আর সগর্বে গোটা দুনিয়াকে জানিয়ে দিলেন, তিনি এখনও শেষ হয়ে যাননি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই কোহলি ফিরে পেলেন রাজ্যপাট।
তাঁর শতরানের অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় দলও। খেলার যখন এক ঘণ্টা মত বাকি সেই সময় ড্রিঙ্কস ব্রেকে নির্দেশ আসে চালিয়ে খেলার। তারপরেই গিয়ার বদল করেন বিরাটও। মিচেল মার্শ, লাবুশেন, নাথান লায়ন কাউকেই ছেড়ে কথা বলেননি। শেষের দিকে নেমে মারকুটে ইনিংস খেলে গেলেন নীতীশ কুমার রেড্ডিও। মিচেল মার্শকে এক ওভারে তিন বলে তিন চার, নাথান লায়নকে মারা বিশাল ছক্কায় হাততালি দিতে দেখা যায় কোহলিকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 12 =