বোলার বুমরাকে ছাপিয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন বুমরা !

পারথে সেটা প্রমাণ করে দিলেন জসপ্রীত বুমরা। টেস্ট ক্রিকেটে রোহিত শর্মার যোগ্য উত্তরসূরী পেয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট টিম। মাত্র ১৫০ রানের পুঁজি। কার্যত ভরাডুবিই বলা যায়। কিন্তু সেখান থেকে আশ্চর্যজনক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। সকালটা যতই খারাপ হোক না কেন, দিনের শেষে ভারতের মুখে একগাল হাসি। আর সেটা এনে দিলেন খোদ ক্যাপ্টেন। রোহিত না থাকায় যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টিমের।

পারথের মতো প্রাণবন্ত পিচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বুমরা। তখনই প্রমাদ গুনেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু পারথের হিসেব বলছে, যারা আগে ব্যাট করে এই পিচে, তারা বাড়তি সুবিধা পায়। বুমরা যে এই অ্যাডভান্টেজটা নিতে চান, তখন মনে হয়নি। কিন্তু দিনের শেষে বুমরা ১০০য় একশো পেলেন। ক্যাপ্টেন হিসেবে, বোলার হিসেবে। ১৫০ রানের পুঁজি নিতে ভারত কীভাবে লড়াই করে, সেটা দেখার ছিল। বুমরা শুরু থেকেই আগুন ঝরালেন। তাঁর যোগ্য সঙ্গী হিসেবে মহম্মদ সিরাজ ও হর্ষিত রানাও দুরন্ত পারফর্ম করলেন। বুমরা একাই নিলেন ৪ উইকেট। ২টো করে সিরাজ ও হর্ষিতের।

ম্যাচের পর চেতেশ্বর পূজারা বলে দিলেন, ‘বুমরা এক কথায় অসাধারণ। লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট বলা যেতে পারে। ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে। তাও বোলার হিসেবে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে গিয়েছে। প্রতিটা বল খেলতে বাধ্য করেছে প্রতিপক্ষ ব্য়াটারদের। বুমরার দেখানো পথেই হেঁটেছে ভারত। যেখানে বল রাখলে খেলতে সমস্যা হতে পারে অস্ট্রেলিয়ানদের, ঠিক সেখানেই বল করেছে ভারতীয় বোলাররা।’একই সঙ্গে পূজারা বলে রাখছেন, ‘খেলা যত গড়ায়, পারথের পিচের বাউন্স সাধারণত বাড়তে থাকে। সেটা কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। উল্টে বল নিচু হচ্ছে। আমার তো মনে হচ্ছে খেলা যত গড়াবে, তত কঠিন হবে পিচ। ভারতের কেউ একজন দ্বিতীয় ইনিংসে যদি ৭০-৮০ করে দিতে পারে, কাজে লেগে যাবে।’

সুনীল গাভাসকরের মতো বিশ্লেষক পর্যন্ত প্রশংসা করে গেলেন, ‘টস জিতে যদি ফিল্ডিং করত ভারত, আরও বেশি কার্যকর হতে পারত। প্রথম দুটো সেশন কঠিন ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে পিচ অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল। তার পরও বলব, ভারত শুরুটা হয়তো তেমন করতে পারেনি, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসেছে ম্যাচে। এই ম্যাচটাও হয়তো জিতেও নেবে ভারত। বুমরা খুব ঠান্ডা মাথায় ক্যাপ্টেন্স করেছে। এমন ভাবে পেসারদের ব্যবহার করেছে, যাতে বোলাররা ক্লান্ত না হয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে ভারত অনেকটা শিখেছে। বাউন্সারের ব্যবহার চমৎকার ভাবে করেছে। লিড ২৫-৩০ হোক, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক একটা সুবিধা’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =