হাওড়া : ফের হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার হলো বিপুল পরিমাণ সোনা, রুপা এবং নগদ টাকা। আরপিএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) আধিকারিকদের তৎপরতায় এই উদ্ধার কার্য সম্ভব হয়েছে। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে ১৩০২৩ হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেসের এ-১ কামরায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা, রুপা এবং নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনায় বিহারের ভাগলপুর এলাকার বাসিন্দা হরিশ কুমার বর্মা (৪৬)-কে আটক করা হয়েছে।
আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করার পর, আরপিএফের একটি দল ওই কামরায় প্রবেশ করে সন্দেহজনকভাবে বসে থাকা হরিশ কুমার বর্মাকে আটকায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭৬৯.৯ গ্রাম ওজনের সোনার গহনা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মধ্যে ছিল সোনার লকেট, আংটি, চেন, কানের দুল এবং হাতের চুড়ি। এছাড়াও পাওয়া যায় ৩৮৫ গ্রাম ওজনের রুপার তিনটি মূর্তি এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা।
আধিকারিকরা তার কাছ থেকে দুটি কাঁচা রশিদ উদ্ধার করেছেন, যা এই সামগ্রীর আইনি বৈধতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তবে ধৃত ব্যক্তি এই সম্পদের কোনো সঠিক নথি বা প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন। তার মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং এগুলি তদন্তের জন্য আয়কর দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরপিএফ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার কথায় অসংগতি ধরা পড়ে। প্রাথমিক তদন্তের পর, উদ্ধার হওয়া সোনা, রুপা এবং নগদ অর্থ আয়কর দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত হরিশ কুমার বর্মার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কিনা এবং এই সামগ্রী কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এই ঘটনার পর হাওড়া স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।