সকাল দেখেই বোঝা যায় দিন কেমন যাবে! এ শুধু প্রবাদ নয়। অনেকাংশে ধ্রুব সত্য। প্রথম দিন দেখে অবশ্য বাংলার পরিস্থিতি বোঝা যায়নি। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া, প্রত্যাবর্তনে সামির হতাশাজনক বোলিং। সব মিলিয়ে ব্যাকফুটে ছিল বাংলা। প্রথম দিনের শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে একশোর উপর রান তুলে নিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। সেই ম্যাচেই পুরোপুরি টার্ন করিয়ে দিয়েছে দ্বিতীয় দিনের সকাল। আপাতত বলা যায়, এই ম্যাচ থেকে বাংলার ছয় পয়েন্টের সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৮ রানে অলআউট হওয়ার পর বাংলাকে প্রবল চাপে রেখেছিল শুভ্রাংশু সেনাপতি ও রজত পাতিদার জুটি। ১০৩-১ স্কোরে প্রথম দিন শেষ করেছিল মধ্যপ্রদেশ। এই দু-জন ক্রিজে থাকায় প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩৫০-র সম্ভাবনা ছিলই। শুধু এই দু-জনই কেন, গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ভেঙ্কটেশ আইয়ারকেও ভুললে চলবে না। কিন্তু সামি ব্রাদার্সের কাছে খেল খতম। মহম্মদ সামি প্রম দিন ১০ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি। রিহ্যাব পর্ব দেখে ফিরে রান আপে অস্বস্তিও হচ্ছিল। সময় লাগবে দেখেই বোঝা গিয়েছে। দ্বিতীয় দিন সেই সামিই ৯ ওভারে ৪ উইকেট নিলেন। তাঁর ভাই মহম্মদ কাইফের ঝুলিতে ২ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার সুরজও। মাত্র ১৬৭ রানেই অলআউট মধ্যপ্রদেশ।
প্রথম ইনিংসে মূল্যবান লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার লক্ষ্য বড় রান তোলা। হাতে এখনও দু-দিন। বাংলা ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারেই ফেরেন ওপেনার শুভম দে। সুদীপ ঘরামি এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় জুটি আরও বড় হতে পারত। তবে সেট হয়েও দু-জনেই ফিরলেন ৪০ রান করে। ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ মজুমদারের অবদান ১৯। প্রথম ইনিংসে বাংলা ব্যাটিংয়ের নায়ক শাহবাজ ৩ রানে ফিরতেই ফের চাপে টিম।
ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমান সাহা জুটি বাংলাকে সঠিক ট্র্যাকেই রেখেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৭০ রান তুলে নিয়েছে বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন ‘ঋ’ জুটি। গত ম্যাচে ৯০ স্ট্রাইকরেটে হাফসেঞ্চুরি প্লাস ইনিংস খেলা ঋদ্ধি ৩২ বলে ২১ রানে ক্রিজে। বাংলার লিড সব মিলিয়ে ২৩১। এই জুটি যদি তৃতীয় দিন আরও কিছুটা সময় ক্রিজে থাকতে পারেন লিড ৩০০ পেরনো কোনও ব্যাপার নয়। তার সামির বোলিং বাংলাকে ছয় পয়েন্ট দিতেই পারে।