প্রয়াত আবদুল গফফর চৌধুরী, অমর হয়ে থাকবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’

প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের(Bangladesh)  বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী। বৃহস্পতিবার লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে ভারতীয় সময় সকাল ৬টার পর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন ৮৭ বছরের গাফফার। চিকিৎসাধীন ছিলেন বার্নেট হাসপাতালেই।বাংলাদেশবাসীর পাশাপাশি বেদনাতুর এপার বাংলার মানুষজনও। গফফরের রচনা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এখন বিশ্ববন্দিত। বৃহস্পতিবার লন্ডনের (London) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন আবদুল গফফর চৌধুরী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বলে খবর।

গাফফারের পরিচয় অবশ্য শুধুমাত্র সাংবাদিকতার জগতেই নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও অবদান রয়েছে তাঁর। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ভাষা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি লিখেছিলেন গাফফার। বাঙালির কাছে একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরির ‘সিগনেচার টিউন’ হয়ে রয়েছে ওই গানটি।

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন গাফফার। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন। ওই বছরই সাংবাদিকতায় যোগ দেন। এর পর কর্মজীবনে একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন গাফফার। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রকাশ করেন ‘দৈনিক জনপদ’ নামে পত্রিকা। তবে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে তিনি পাড়ি দেন ব্রিটেনে। লন্ডনে থেকেই দেশের বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, অ্যাকাডেমি পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার-সহ একাধিক সম্মান এসেছে তাঁর ঝুলিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =