এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে পারোর বিরুদ্ধে ড্র ইস্টবেঙ্গলের

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও জয়ের মুখ দেখল না ইস্টবেঙ্গল। এদিন ভুটানের পারো এফসি-র বিরুদ্ধে ২-২-এ খেলা শেষ করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। টানা আট ম্যাচ হারের পরে অবশেষে পয়েন্ট এল ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে। অবশ্য অস্কার ব্রুজোঁর দল এদিন জিততেও পারত। চা পানের সময়ে পেয়ালা ও ঠোঁটের মধ্যে যে ব্যবধান থাকে, সেই পার্থক্যই থেকে গেল।

আইএসএলে টানা ছ’ম্যাচে হার। তার আগে ডুরান্ড কাপ ও এএফসি কাপে হার লাল-হলুদকে বর্ণহীন করে তুলেছিল। একটা জয়ের জন্য মরিয়া ছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে কাঙ্খিত জয় না এলেও এক পয়েন্ট এল। তাতে কি তলানিতে থাকা আত্মবিশ্বাস বাড়বে লাল-হলুদের?

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে পারো এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগের দিন অস্কার ব্রুজোঁকে নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয়ে যায়। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি। ব্রুজোঁকে নিয়ে জট কাটলেও খেলার মাঠে জয় পেল না লাল-হলুদ ব্রিগেড।

পারো এফসি ভুটানের সেরা দল। তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্রেসপোর কাছ থেকে বল পেয়ে তালাল ১-০-এ এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু তার পর সেই পুরনো কাসুন্দি। গোল করে এগিয়ে গিয়েও গোল ধরে রাখতে না পারার খেসারত দিতে হল অস্কার ব্রুজোঁর দলকে।

কলকাতার ক্লাব ভবানীপুর, মিনার্ভায় খেলা ওপোকু পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান পারো এফসির হয়ে। পারো এফসি-কে এগিয়ে দেন আসান্তে। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স তখন হাঙরের হাঁ। আসান্তে আগুয়ান গিলকে পরাস্ত করে ২-১ করেন। ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরায় বিরতির পরে। ডান দিক থেকে নন্দকুমারের গড়ানে সেন্টার থেকে দিয়ামান্তাকোস ২-২ করেন লাল-হলুদের হয়ে।

ইস্টবেঙ্গল এদিন কিন্তু জয়ের দেখা পেতেই পারত। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন অস্কারের ছেলেরা। গোলগুলো হয়ে গেলে বিদেশের মাটিতে ৭ ম্যাচ পরে প্রথম জয়ের দেখা মিলত। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী খেলা বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে। অস্কার ব্রুজোঁর প্রাক্তন ক্লাব। বসুন্ধরা কিংসের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল কী করে, সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + eight =