মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ভারতের অভিযান দুর্দান্ত হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষকে ৪ গোল দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে খেই হারাল ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে জয়ে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত ছিল। এরপর বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ ড্র হওয়ায় ভারতের সেমিফাইনাল পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু গ্রুপ সেরা হওয়া হল না ভারতের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে অপ্রত্যাশিত হার। আত্মতুষ্টির কারণেই কি? এই প্রশ্নও উঠছে।
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সব কটি গোলই প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে শুধুই সুযোগ এবং ব্যর্থ চেষ্টা। শেষ অবধি বাংলাদেশ জেতে ৩-১ ব্যবধানে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে আফেদা খন্দকারের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৯ মিনিটে বাংলাদেশের লিড বাড়ান তোহুরা খাতুন। ৪২ মিনিটে তাঁর দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশের তৃতীয় গোল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ভারতের হয়ে একটি গোল শোধ করেন তারকা প্লেয়ার বালা দেবী। ভারত ও বাংলাদেশ একটি করে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ভারতের কাছে হার ও বাংলাদেশ ম্যাচ ড্র, গ্রুপেই বিদায় পাকিস্তানের।
একতরফা ম্যাচ যদিও বলা যায় না। ভারত বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও স্কোর লাইনে তার প্রভাব পড়েনি। বিশেষ করে বলতে হয় ৩৫ মিনিটে রঞ্জনা চানুর সুযোগের কথা। তবে ভারতীয় শিবির আর এই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে নারাজ। সেমিফাইনালেই নজর। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে ভারত অন্যতম সফল দল। এ দিনের হার ভুলে সেমিফাইনালের ভাবনা শুরু ভারতীয় শিবিরে।