জিতলে সবই ভালো মনে হয়। হারলে সব ভুল! ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি এমনটাই। তবে মন্দের ভালো বলেও যে একটা বিষয় হয়, সেটাই যেন হল। পারফরম্যান্সে অনেকটাই উন্নতি লক্ষ্য করা গেল। কিন্তু রেজাল্ট বদল হল না। মন্দের ভালো খেলেও ওড়িশা এফসির কাছে হারের হেক্সা। এ বারের আইএসএলে টানা ছয় ম্যাচে হার ইস্টবেঙ্গলের। অস্কার যোগ দিলেও অক্সিজেন এল না। অথচ ফল যেন অন্যরকম হতেই পারত।
ময়দানের অতি পরিচিত সেই লাইন, বড় ম্যাচের পর অনেক কিছুই হতে পারে। বড় ম্যাচে ০-২ ব্যবধানে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে ওড়িশার বিরুদ্ধে অনেকাংশেই প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে তিনটি সুযোগ হারায় ইস্টবেঙ্গল। এই অবধি ঠিকই ছিল। কিন্তু ২২ মিনিটে রয় কৃষ্ণার গোল ইস্টবেঙ্গলের ছন্দপতন হয়। এরপরও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল লাল-হলুদ।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে তালালের ক্রসে হ্যান্ডবল থোইবার। পেনাল্টি দিতে পিছপা হননি রেফারি। স্পটকিক নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন দিয়ামান্তাকোস। তাঁর সঙ্গে মেন্টাল গেম খেলেন ওড়িশা গোলরক্ষক অমরিন্দর। রেডি হতে দীর্ঘ সময় নেন। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। স্পটকিক কাজে লাগান। ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম গোল দিয়ামান্তাকোসের। ১-১ স্কোর লাইনে বিরতি যায় দু-দলই। ওডিশাকে আর অ্যাডভান্টেজ বলা যাচ্ছিল না। বরং মানসিক ভাবে অনেকটা স্বস্তিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে মোর্তাদা ফল-এ ডাউনফল ইস্টবেঙ্গলের। আহমেদ জাহুর ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত হেডারে গোল মোর্তাদার। এতে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণেরও ভুল রয়েছে। তাঁকে মার্ক করার কথা যেন মাথাতেই আসেনি। ওড়িশা এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। এরপরও ছোট ছোট স্বপ্ন দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় প্রভাব লাকরাকে। ইস্টবেঙ্গলের চাপ বাড়ে। ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল আর গোল খায়নি। গোলরক্ষক প্রভসুখনকেও বাড়তি কৃতিত্ব দিতে হবে।