মঙ্গলবার, দুর্গাপুর ব্যারেজ লাগোয়া শ্যামপুর কলোনি থেকে সূত্র মাফিক খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ-এর দল। অভিযানে, একটি লরি থেকে ২২ বস্তা ভর্তি গাঁজা উদ্ধার করে এসটিএফ। প্রায় ৩৫০ কেজি গাঁজা থাকার কথা জানায় এসটিএফ দল। বাজেয়াপ্ত গাঁজা সহ ৬ অপরাধীকে কোক-ওভেন থানায় নিয়ে আসে এসটিএফ ও পুলিশ। বুধবার সকালে, এনডিপিএস এক্টে ধৃত ৬ অপরাধী-কে আসানসোল নারকোটিক্স আদালতে পেশ করে কোক-ওভেন থানার পুলিশ ও এসটিএফ আধিকারিকরা। ধৃত অপরাধীদের নাম কার্তিক সাহা, বসির শেখ, সঞ্জয় মল্লিক, আনন্দ বিশ্বাস, ঝন্টু ঘোষ ও দেবজ্যোতি সরকার। তাদের বিরুদ্ধে কোক-ওভেন পিএস কেশ নম্বর ৯৩/২২, অন্ডার সেকশন ২০(বি)ii (সি)/২৯ এনডিপিএস এক্টে মামলা রুজু করা হয়। এসটিএফ-এর তরফ থেকে আদালতে ধৃত অপরাধী কার্তিক সাহা এবং বসির শেখ, এই দু’জনের ১৪ দিনের এসটিএফ হেপাজতের আর্জি জানানো হয়। আসানসোল নারকোটিক আদালতের বিচারক ১৪ দিনের এসটিএফ হেপাজত মঞ্জুর করে ধৃত দুই অপরাধী কার্তিক সাহা এবং বসির শেখ-এর। বাকি চার জনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক। আগামী ৩১ মে ফের হাজির করতে হবে অপরাধীদের। পুলিশ সূত্রে জানা জায়, ওডিশা-র জলেশ্বর থেকে গাঁজা ভর্তি লরিটি নদিয়ার নবদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। দুর্গাপুরের ব্যারেজ লাগোয়া শ্যামপুর কলোনি এদের মধ্য বিরাম স্থান হিসেবে কাজ করেছে। এসটিএফ-এর কাছে সূত্র মাফিক সঠিক খবর ছিল। মঙ্গলবার এসটিএফ ও পুলিশ হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করে গাঁজা ভর্তি লরি সহ পাচারকারী ৬ অপরাধীকে। উল্লেখ্য, স্থানীয় সূত্রে জানা জায়, দুর্গাপুর স্টেশনের বাস স্ট্যান্ডটি ‘কি-পিন’ হিসেবে ব্যাবহার করে মাদক পাচার সহ নারী পাচার চক্রীরা। এর আগেও একই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক (ড্রাগস) উদ্ধার করে কোক-ওভেন থানার পুলিশ। দুর্গাপুর স্টেশন লাগোয়া বিভিন্ন হোটেল এবং লজে বাইরে থেকে মহিলাদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। পেন, পেনসিল, খাতা বিক্রি করার হকারদের দিয়ে ছোট-ছোট প্যাকেটে গাঁজা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তবে, এদিনের ৩৫০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা বড় সাফল্য বলে মনে করছে এসটিএফ ও কোক-ওভেন থানার পুলিশ।