নির্যাতিতা চিকিৎসকের দাহকার্যে আরও এক তৃণমূল নেতার সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

কলকাতা : আর জি কর-এ নির্যাতিতার দাহকার্যে আরও এক তৃণমূল নেতার সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শবদেহের ঘাটের সংশ্লিষ্ট শংসাপত্রের ছবি-সহ সোমবার শুভেন্দুবাবু এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “৩১ বছর বয়সী জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের পরিচালনা দলের সদস্য ছিলেন ফরেনসিক চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে তলব করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে এক বিস্ফোরক কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছিলেন যে একজন লোক ছিল যে নিজেকে মৃতার কাকা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ওই কাকা হুমকি দিয়েছিলেন, “যদি সে দিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন না হয় তবে ‘রক্তের নদী’ প্রবাহিত হবে। ওই ব্যক্তি ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই ব্যক্তি কে? সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তিনি পানিহাটি পৌরসভার প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলর, পরে টিএমসিতে যোগ দিয়ে পানিহাটির টিএমসি বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন।

সবাই জানে নির্যাতিতাকে তাড়াহুড়ো করে দাহ করা হয়েছে। পুলিশ শ্মশানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছিল এবং শ্মশানে লাশটি দাহ করার জন্য অসাধারণ তাড়া ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আশ্চর্যের বিষয়, এই সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়ে শ্মশানের নথির স্বাক্ষরকারী। নথিতে আরও একটি নাম/স্বাক্ষর রয়েছে— সোমনাথ দে। এই নামে পানিহাটি পৌরসভার আর এক প্রাক্তন টিএমসি কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি কি একই ব্যক্তি?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 13 =