দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কোরিয়া ও পাকিস্তান। তৃতীয় স্থানের ম্যাচে জিতেছে পাকিস্তান। অপেক্ষা ছিল ফাইনালের। পাকিস্তান প্লেয়াররাও গ্যালারিতে। সঙ্গে স্থানীয় সমর্থন। খাতায় কলমে যাই হোক, ঘরের মাঠে দুর্গ হয়ে উঠল। চিনকে তিন গোল মেরেই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফাইনালে ঘাম ঝরল চিনের ডিফেন্স ভাঙতে। অবশেষে শেষ কোয়ার্টারে যুগরাজের গোলে পঞ্চম এবং টানা দ্বিতীয় বার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জিতল ভারত।
প্রথম বার ফাইনালে উঠেছিল চিন। প্রথম কোয়ার্টারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স চিনের গোলকিপার ওয়াং উয়ে হাউয়ের। তাঁর কাছেই বেশ কয়েকবার আটকে গেল ভারত। প্রথম কোয়ার্টারে ভারতের গোলকিপার ছিলেন কেপি পাঠক। তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সূরজ কারকেরাকে নামানো হয়। প্রথম কোয়ার্টারে রুদ্ধশ্বাস পারফরম্যান্স দু-দলেরই। ক্রমতালিকা অনুযায়ী এশিয়ার সেরা টিম ভারত, তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে চিন। প্রথম কোয়ার্টারে অবশ্য দু-দলের মধ্যে পার্থক্য করা যায়নি।
ম্যাচ যত এগতে থাকে, ভারতীয় শিবিরে অস্বস্তি। ক্রমতালিকায় পিছিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে একঝাঁক সুযোগ তৈরি হলেও গোল আসছিল না। ম্যাচের ৫০ মিনিট অতিক্রান্ত। চূড়ান্ত লড়াই শেষে নির্ধারিত সময়ের ৯ মিনিটে আগে স্বস্তি। অভিষেকের পাস থেকে ম্যাচ নির্ণায়ক গোল যুগরাজ সিংয়ের।
শেষ চার মিনিটে গোলকিপার ছাড়াই খেলে চিন। লক্ষ্য ছিল, যদি কোনও ভাবে ম্যাচে সমতা ফেরানো যায়। তেমনই ভারতীয় শিবিরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ব্যবধান বাড়ানোয়। টুর্নামেন্টে ভারতের সবচেয়ে ছোট জয় এসেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। লিগের ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। সেমিফাইনাল সহ বাকি সব ম্যাচেই গোলের বন্যা ভারতের। ফাইনালেও ব্যবধান থাকল ১-০ গোলেরই।