ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আগামী মরসুমে মেগা অকশন হবে। যদিও রিটেনশন পলিসি নিয়ে বোর্ডের তরফে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। কতজন প্লেয়ার রিটেন করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি, রিটেনশন থাকবে কিনা, রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করা যাবে কিনা। এমন অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। যদি রিটেনশন পলিসি থাকেও রোহিত শর্মাকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রাখবে কিনা সেটাও প্রশ্ন। ঠিক একই ভাবে আরও একটা প্রশ্ন উঠছে, রোহিত কি আদৌ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে থাকতে চাইবেন? মেগা অকশনে নাম লেখাবেন আইপিএলের অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন! ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অবশ্য বড় দাবি করছেন।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে রোহিতের মানসিক দূরত্ব যে তৈরি হয়েছে, গত আইপিএলের ঘটনাই তার প্রমাণ। প্রত্যাশিত ভাবেই রোহিতকে রিটেন করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একই ভাবে গুজরাট টাইটান্সও হার্দিককে রেখেছিল। দু-জনকেই ক্যাপ্টেন হিসেবে রাখা হয়েছিল। রিটেনশন লিস্ট প্রকাশ্যে আসার দু-ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ক্যামেরন গ্রিনকে ট্রেডিংয়ে আরসিবিতে পাঠায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টাইটান্স থেকে ট্রেডিংয়ে নেওয়া হয় হার্দিককে। রোহিত থাকলেও ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয় হার্দিককে। সেখান থেকেই যাবতীয় অস্বস্তির শুরু।
রোহিতের আইপিএল ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করছেন, রোহিতকে নিয়ে ব্যাপক টানাটানি হবে। তাঁকে ট্রেড করা হবে বলেই মনে করেন আকাশ। ইউটিউব শো-তে এক সমর্থকের প্রশ্নে আকাশ চোপড়া বলেন, ‘অনেক কিছুই হতে পারে কিন্তু আমার মনে হয় না রোহিতকে রিটেন করা হবে। এই মুহূর্তে আমার কাছে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই, তবে যেটুকু বুঝতে পারছি, রোহিতকে ছেড়ে দেওয়া হবে। হয়তো ট্রেডিংয়ে কোনও দলে যাবে ও। রোহিত অকশনে যাবে না এটুকু বলা যায়। একান্তই ট্রেডিং না হলে অকশনে যেতে পারেন রোহিত। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ওর সফর শেষ বলেই মনে হচ্ছে।’
ট্রেডিং হলে রোহিতকে নিয়ে বেশ কিছু দলের মধ্যে টানাটানি হবে এটুকু বলা যায়। পঞ্জাব কিংস, লখনউ সুপার জায়ান্টস আগ্রহ দেখিয়েছে রোহিত শর্মাকে নিয়ে। এমনও জল্পনা রয়েছে, রোহিতকে টিমে নিতে ৫০ কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছে লখনউ। গত মরসুমে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে লখনউয়ের সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে, তা প্রকাশ্যেই।