কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল। টাইব্রেকারে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। টানা দু-ম্যাচ টাইব্রেকার জয়ের পর ফাইনালে মনে হচ্ছিল, নির্ধারিত সময়েই জিতবে মোহনবাগান। ২-০ এগিয়ে থেকেও নির্ধারিত সময়ে জেতা হল না। ম্যাচ গড়াল সেই টাইব্রেকারেই। গত দু-ম্যাচের মতো ফাইনালেও মোহনবাগানের ভরসা ছিল বিশাল কাইথের হাতই। কিন্তু টাইব্রেকারে জয়ের হ্যাটট্রিক হল না। জন আব্রাহামের উপস্থিতিই যেন বাড়তি তাগিদ জুগিয়েছিল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ফুটবলারদের। টাইব্রেকারে অনবদ্য জয়। মোহনবাগানের ১৮ নম্বর ট্রফি হল না। প্রথম বার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। ম্যাচের ১১ মিনিটের মধ্যেই ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে সাহাল আব্দুল সামাদকে ফাউল করেন আশির আখতার। জার্সি ধরে টানেন। রেফারি দেরি করেননি ফাউল ও পেনাল্টি দিতে। পেনাল্টি থেকে মোহনবাগানকে ১-০ এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। ১৯ মিনিটে লিড ২-০ করার সুযোগ ছিল মোহনবাগানের সামনে। বক্সের ভিতরে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বাঁ পায়ের শট। সামনে শুধুই গোলকিপার। যদিও সেখান থেকে শট মারলেন ক্রসবারের উপর দিয়ে! কোচ হোসে মোলিনা সহ সকলেরই মাথায় হাত। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দেন সাহাল আব্দুল সামাদ। বাঁ দিক বল নিয়ে উঠছিলেন লিস্টন কোলাসো। পোস্টের সামনে থেকে মাইনাস করেন। ওয়ান টাচ ভলিতে গোল সাহাল আব্দুল সামাদের। প্রথমার্ধেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ২-০ এগিয়ে যাওয়ায় ১৮ নম্বর ট্রফির স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে শুরু করে সবুজ মেরুন শিবিরে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎই খেলার রং বদল। ম্যাচের ৫৬ ও ৫৮ মিনিটে পরপর দু-গোল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। ফাইনালও গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম কিক ‘মিস’ মোহনবাগানের জেসন কামিংসের। গোলকিপার আগেই জায়গা ছাড়ায় রি-টেকের সুযোগ কামিংসের। আর ভুল করেননি বিশ্বকাপার কামিন্স। তৃতীয় স্পটকিকে লিস্টন কোলাসোর কিক বাঁচিয়ে দেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড গোলকিপার গুরমীত। মোহনবাগানের অস্বস্তি বাড়ে। পার্থিবের কিকে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে ব্যর্থ বিশাল কাইথ। ফলে অ্যাডভান্টেজ ছিল নর্থ ইস্টই। শুভাশিসের কিকও বাঁচিয়ে দেন গুরমীত। আর এই সেভেই চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। ৪-৩ ব্যবধানে জয়ী নর্থ ইস্ট।