রবিবাসরীয় যুবভারতীতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের। তবে মুখোমুখি নয়, বরং একজোট হলেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা। ডার্বি বাতিলের জন্য হতাশা। তার চেয়ে বেশি ক্ষোভ আরজি কর কাণ্ডে। তারই প্রতিবাদ জানাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকরা। তাঁদের প্রতিবাদে যোগ দেন মহমেডান স্পোর্টিং সমর্থকরাও। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারাও ছিলেন। যদিও বিধাননগর পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যুবভারতীর ভিআইপি গেটের সামনে কোনও জমায়েত করা যাবে না। অন্তত ২০০ মিটার দূরে যেতে বলা হয়। অনেকটা দূরে গিয়েই শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করছিলেন ফুটবল প্রেমীরা। কিন্তু এরপরও পুলিশ লাঠিচার্জ করে, টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন ফুটবল প্রেমীকে। লাঠি চার্জ হয়েছে মেয়েদের উপরও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে, তখনই অনেককে ছাড়িয়ে নেন। তিনি আসরে নামার আগেই অবশ্য ৬ জনকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই তাঁদের ছাড়িয়ে নিলেন ফেডারেশন সভাপতি।
অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ৬ ফুটবলপ্রেমীকে আটক করে ফুলবাগান থানা। লালবাজারে পাঠানো হয় সেই ৬ ফুটবলপ্রেমীকে। তাঁদের ছাড়াতে আসরে ফেডারেশন সভাপতি। রাত এগারোটায় লালবাজার যান তিনি। ফুটবলপ্রেমীদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন কল্যাণ চৌবের সামনে। ছয় ফুটবলপ্রেমীকে ছাড়াতে ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীও। পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ওই ৬ ফুটবলপ্রেমীকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন কল্যাণ চৌবে। লালবাজার থেকে বেরিয়েও জাস্টিস ফর আরজি কর স্লোগান ফুটবলপ্রেমীদের গলায়।
ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার তথা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘ওরা তো কেউ ক্রিমিনাল নয়। ওরা প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিল। বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদে নেমেছিল। পুলিশ ওদের আটক করে।’ কল্যাণ চৌবে আরও জানান, লাল বাজারে তাঁকে বলা হয়েছিল, যে ছ-জনকে আটক করা হয়েছে, তাঁদের রাতে থানায় রাখা হবে এবং সকালে কোর্টে তোলা হবে। যদিও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন ফেডারেশন সভাপতি।