১৯৯৭ সালের পর ওডিআই সিরিজে ভারতকে হারাতে পারেননি শ্রীলঙ্কা। ১১টি সিরিজ জিতেছিল ভারত। বাকি ড্র হয়েছিল। দীর্ঘ ২৭ বছর পর শ্রীলঙ্কার কাছে ওডিআই সিরিজ হার ভারতের। টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ক্লিনসুইপ করেছিল ভারত। সূর্যকুমার যাদবের টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। ওয়ান ডে সিরিজের শুরুতে অ্যাডভান্টেজ ছিল ভারতই। শ্রীলঙ্কার প্রথম সারির পাঁচ পেসার ছিটকে গিয়েছিল সিরিজ থেকে। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে টার্গেট ছিল মাত্র ২৩১। রোহিতের সৌজন্যে দুর্দান্ত একটা শুরুও হয়েছিল। শেষ দিকে পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়। শেষ ১৫ বলে ১ রান, হাতে ২ উইকেট। সেই ম্যাচ টাই হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ফের ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিং। ১১০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়, সিরিজও শ্রীলঙ্কার।
ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। শ্রীলঙ্কায় তাঁর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৩-০ ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ভারত। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওয়ান ডে ফরম্যাটেই টুর্নামেন্ট। সে কারণেই এই সিরিজে বিরাট-রোহিতের মতো সিনিয়রদের দলে চেয়েছিলেন গম্ভীর। ভারতের বিশ্ববন্দিত ব্যাটিং লাইন আপের আত্মসমর্পণ। সেই স্পিনের ফাঁদেই।
তৃতীয় ম্যাচে পিচ তুলনামূলক ভালো ছিল। শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে ২৪৯ রানের টার্গেট দেয় ভারতকে। ব্যাটিং অর্ডারেও নানা পরিবর্তন করা হয়। তবে স্পিন আতঙ্ক কাটেনি। ২৬.১ ওভারে মাত্র ১৩৮ রানেই অলআউট ভারত। সর্বাধিক স্কোর ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ৩৫। ভারতের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই স্পিনারদের বিরুদ্ধে। বাঁ হাতি স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে নিয়েছেন ৫ উইকেট। মহেশ থিকসানা ও জেফরি ভ্যানডারসে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।