গৌতম গম্ভীর-সূর্যকুমার যাদবের কেমিস্ট্রি যেন আরও মিস্ট্রি। প্রথম দু-ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারত। নজর ছিল পরীক্ষায়। সব কিছুই সিলেবাসের বাইরে হল। হঠাৎ কী হয়ে গেল এ যেন বোঝানো মুশকিল। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডার ব্যর্থতায় ভারত মাত্র ১৩৭ রান তোলে। ওপেনিং জুটিতেই ৫৮ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্ক। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিস-কুশল পেরেরা ৫২ রানের জুটি গড়েন। একটা সময় ৩০ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার। হাতে তখনও ৯ উইকেট! সেখান থেকে সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে গেলেন রিঙ্কু সিং ও সূর্যকুমার যাদব। শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলা।
ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন কুশল পেরেরা। সেই বিশ্বাস থেকে সুপার ওভারে তাঁকেই পাঠায় শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। ভারতের হয়ে বোলিং ওপেন করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ওয়াইড দিয়ে শুরু করেছিলেন। এরপরই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ওয়াশিংটন সুন্দরের। গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন কুশল পেরেরা। ওয়াশিংটন সুন্দর তিন বলেই ২ উইকেট নেন। ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রান! এই রান নিয়ে জেতার জন্য মিরাকল প্রয়োজন।
দীর্ঘ সময় মিটিংয়ে শ্রীলঙ্কা। কার হাতে বল তুলে দেবেন, এটাই আলোচনার। ভারতের হয়ে ব্যাটিংয়ে আসেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব ও ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। শ্রীলঙ্কা ক্যাপ্টেন অবশেষে বল তুলে দেন মহেশ থিকসানাকে। প্রথম বলেই সুইপ শটে থার্ডম্যানে বাউন্ডারি সূর্যকুমার যাদবের। সুপার ওভারে প্রথম বলেই জয়। শ্রীলঙ্কাকে ক্লিন সুইপ করে গৌতম গম্ভীর-সূর্যকুমার যাদব অধ্যায় শুরু হল ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।