‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর রঙিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ঐতিহ্যশালী শেন নদীতে প্যারিস অলিম্পিকের জাঁকজমক অনুষ্ঠানে ‘সিটি অফ লাভ’ মন জয় করে নিল বিশ্ববাসীর। সম্প্রতি অলিম্পিকে এত বড় আকারে অনুষ্ঠান হয়নি। ভারতীয় সময় রাত এগারোটায় শুরু হয় ওপেনিং সেরেমনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি এভি প্রদর্শন। অলিম্পিকের টর্চ হাতে জিনেদিন জিদানকে মেট্রোয় উঠতে দেখা যায়। তারপর শেন নদী বয়ে সেই টর্চ এসে পৌঁছয় প্যারিস অলিম্পিকের মঞ্চে। উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। ছিলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার সভাপতি থমাস বাখ। শেন নদীর ৬ কিলোমিটার জুড়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলে।
এরপর ফ্রান্সের পতাকার লাল, সাদা, নীল রঙের আবির প্রদর্শনী। প্রথম অলিম্পিক আয়োজন দেশ হিসেবে শুরুতেই আসে গ্রিসের অ্যাথলিটদের ক্রুজ। এরপর পন্ট ডি এলিনা ব্রিজের তলা দিয়ে শেন নদীর বুক চিরে আসে একের পর এক প্রতিযোগী দেশের ক্রুজ। একাধিক ঐতিহাসিক ব্রিজ পেরিয়ে লুভর মিউজিয়াম, নোটরড্যাম ক্যাথিড্রাল পেরিয়ে নৌ প্যারেড শেষ হয় আইকনিক আইফেল টাওয়ারের তলায়। একই ক্রজে আসে ভারত, ইন্দোনেশিয়া।
ভারতের নৌকায় পতাকা বাহক পিভি সিন্ধু এবং শরথ কমল। শেফ দ্য মিশন গগন নারাং। তারই মাঝে গান, বাজনা। পারফর্ম করলেন লেডি গাগা। তারপর আবার ক্রজ প্যারেড শুরু। গান, বাজনা, আতশবাজির মাধ্যমে উঠে আসে ফরাসি বিপ্লবের চিত্র। সিটি হল অফ প্যারিসের ছাদে গোলাপী পোশাক পরিহিত প্রায় ৫০০ নৃত্যশিল্পী পারফর্ম করে।
পারফর্ম করে ফ্রান্সের হেভি মেটাল ব্যান্ড গজিরা। নাটক, জিমন্যাস্টিকস কী ছিল না উদ্বোধনের মঞ্চে! পারফর্ম করেন ফ্রেঞ্চ মালিয়ান গায়িকা আয়া নাকামুরা। তাঁর সঙ্গে রিপাবলিকান গার্ডের বাদ্যযন্ত্রী এবং ফরাসি সেনার শিল্পীরা সঙ্গ দেন। হৃদয়ের আকৃতিতে একটি স্মোক ক্লাউড ভেসে ওঠে প্যারিসের আকাশে। বৃষ্টি বাঁধ সাধতে পারেনি।