যে অভাব এতদিন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে, তা কি মিটবে? সকাল দেখে নাকি দিনের আঁচ পাওয়া যায়। তা যদি হয়, তা হলে বলতে হবে, স্বপ্নপূরণের ঠিক দু’ধাপ আগে দাঁড়িয়ে ভারতের আর্চারি টিম। দুপুরে মেয়েরা যা শুরু করেছিলেন, সন্ধেয় ছেলেরা তা-ই করে দেখালেন। বলা যায় মেয়েদের থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স দিলেন তিরন্দাজি টিমের ছেলেরা। মেয়েরা যেমন কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছেন, ছেলেরাও শেষ আটে জাঁকিয়ে বসেছেন। যদি সব অঙ্ক মেলানো যায়, তা হলে আর্চারি টিম ইভেন্ট থেকে অলিম্পিকের প্রথম পদক প্রাপ্তির খবর দিন কয়েকের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
মেয়েদের টিমে যেমন অঙ্কিতা ভকত, ছেলেদের টিমে তেমন ধীরজ বোম্মাডেভারা। আসলে মেয়েদের পারফরম্যান্স তাতিয়ে দিল ছেলেদেরও। ধীরজ, তরুণদীপ রাই, প্রবীণ যাদবরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ধারাবাহিক ছিলেন। তবে ধারাবাহিকতার তুঙ্গে ছিলেন ধীরজ। নামের প্রতি সুবিচার করেছেন তিনি। এক একটা শটের জন্য় মনঃসংযোগ করেছেন, লক্ষ্যভেদও করেছেন। ব়্যাঙ্কিং ইভেন্টে চার নম্বরে শেষ করেছেন ধীরজ। তাঁর পয়েন্ট ৬৮১। তরুণদীপের পয়েন্ট ৬৭৪ আর প্রবীণের ৬৫৮। শুরুতে একটু নড়বড়ে দেখাচ্ছিল তরুণদীপ ও প্রবীণকে। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তত ম্যাচে ফিরেছেন তাঁরা। টিম ইভেন্টে ভারত শেষ করল তিন নম্বরে। অর্থাৎ শেষ আট যেমন নিশ্চিত, আর একটা ধাপ পেরোলেই পদকের খোঁজে নামতে পারবেন ভারতের ছেলেরা।
শেষ আটে ভারতের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া-তুরস্কের মধ্যে জয়ী টিম। এই ম্যাচ ভারত পার করতে পারলে ফ্রান্সের মুখে পড়তে হতে পারে। সেমিফাইনালে উঠে যদি ভারত হেরেও যায়, ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে নামবেন ধীরজ-তরুণদীপরা। আর তা জিতলে প্রথম বার পদকের স্বপ্নপূরণ হবে ভারতীয় আর্চারির। গত কয়েকটা অলিম্পিকে কখনওই পদকের স্বপ্ন শুরু থেকেই দেখাতে পারেননি ভারতের তিরন্দাজরা। এ বার ব্যতিক্রমী দেখাচ্ছে অঙ্কিতা-দীপিকা, তরুণদীপ-ধীরজদের। নতুন-পুরনো মিশেলই হয়তো এতদিনের অভাব মেটাবে।