মেয়েদের এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত ভারতের। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমির শাহিকে ৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। টানা দ্বিতীয় বড় জয়। ২ ম্যাচে চার পয়েন্ট। নেট রান রেট +৩.৩৮৬! সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত। আরও ভালো করে বললে, ভারত সেমিফাইনালে এক পা ফেলেই রাখল। প্রথম ম্যাচে ছিল বোলারদের দাপট। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ঝড়। টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড ভারতের। আরব আমির শাহির মতো দলের কাছে যা তাড়া করে জেতা কার্যত অসম্ভবই ছিল।
টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিল আরব আমির শাহি। শেফালি ভার্মার ক্যামিও ইনিংস। দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। কিপার ব্যাটার রিচা ঘোষের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন। তাঁর হাফসেঞ্চুরি এবং রিচা ঘোষের ২৯ বলে বিধ্বংসী ৬৪ রানের সৌজন্যে ৫ উইকেটে ২০১ রান তোলে ভারত। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৩ রান করে আরব আমির শাহি। ম্যাচের আগে ভারতীয় শিবিরে বড় ধাক্কা লাগে। আঙুলের চোটে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। এই ম্যাচে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় তনুজা কানওয়ারের।
ভারতের প্রথম কিপার ব্যাটার হিসেবে মহিলাদের এশিয়া কাপে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন রিচা। সঙ্গে বিধ্বংসী ইনিংস। এখানেই শেষ নয়। একটি স্মার্ট স্টাম্পিংও করেন। ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় তাঁকেই। রিচা ঘোষ বলছেন, ‘আমি যখনই হ্য়ারি দির সঙ্গে ব্যাট করি, ও আমাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝিয়ে দেয়, সেই অনুযায়ী শট খেলি। যখনই সুযোগ পাই, নিজের উপর ভরসা রাখি। এই ইনিংসে কভার ড্রাইভে প্রথম বাউন্ডারিটাই আমার কাছে আজকের সেরা মুহূর্ত।’ নিজে ৬৬ রানের ইনিংস খেললেও ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর জয়ের কৃতিত্ব দিচ্ছেন রিচা ঘোষকেই। আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল একদিক আগলে রাখা, রিচা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে।