সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত ডিএ মামলার শুনানি। আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল রাজ্য। ডিএ অধিকার না অনুদান, তাই নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন বলে সওয়াল করেন রাজ্যের পক্ষে আইনজীবি অভিষেক মনু সিংভির। অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারিদের পক্ষের আইনজীবী আর্জি জানান, দুর্গাপুজোর আগেই চূড়ান্ত পর্বের শুনানি হোক। তবে শুনানি কবে হবে পরবর্তী সময়ে জানাবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রায় ৪ মাস পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে তালিকাভুক্ত হয় মামলাটি। সিরিয়ল নম্বর ছিল ৬০। একদম শেষে। এদিন আদালত প্রায় ওঠার সময় মামলাটি ওঠে। সেই সময় রাজ্যের তরফের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, মামলাটির সঙ্গে অনেকে যুক্ত। আরও বিস্তারিত শুনানি দরকার। সেক্ষেত্রে সোমবারের বদলে অন্য কোনওদিন শুনানি হতে পারে। পালটা আন্দোলনকারীদের আইনজীবীরা দাবি করেন, কয়েক হাজার সরকারি কর্মী ডিএ-র জন্য অপেক্ষা করে আছেন। এর আগে একাধিক আদালত তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের আইনজীবীদের আরজি ছিল, সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগে সুখবর পাওয়ার জন্য আশায় বুক বাঁধছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্গাপুজো বাংলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু গোটা দেশের জন্য তো আর নয়। মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিচারপতিরা বিস্তারিত শুনানি করতে চায় বলে সূত্রের খবর। তবে মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। এরপর প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। এর মাঝে ডিএ মামলা ১১ বার শুনানির জন্য ওঠে। যদিও, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি একবারও হয়নি। মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ও সরকারি কর্মচারি পরিষদের দাবি, বারবার ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও কোনও শুনানি হয়নি। এরপর সোমবার বর্ধিত ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারিদের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকেই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মামলা একই জায়গায় থমকে রয়েছে, যে কারণে হতাশ রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ।