বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টেডিয়ন স্প্যানিশ আর্মাডার দখলে। প্রথম দল হিসেবে চারবার ইউরো কাপ জিতে ইতিহাসের পাতায় স্পেন। পাঁচে চার। গত পাঁচ ইউরোর মধ্যে চারবার চ্যাম্পিয়ন স্পেন। টানা সাত ম্যাচ জিতে আরও একবার ইউরো কাপ জিতল স্পেন। রবিবার রাতে বার্লিনে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারালেন মোরাতারা। পরীক্ষায় পাস লুইস ডেলা ফুয়েন্তে। ইয়ুথ দল থেকে সিনিয়র দলের দায়িত্ব নিয়েই সাফল্য। ডেভিড ভিয়া, জাভি, ইনিয়েস্তার যুগের পর এল জামাল, উইলিয়ামসের যুগ। একজনের বয়স ১৬, অন্যজনের ২২। দুইয়ের যুগলবন্দিতে চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ইউরো ফাইনালের সেরা নিকো উইলিয়ামস। অনবদ্য পারফরম্যান্স। সবচেয়ে বর্ষীয়ান অধিনায়ক হিসেবে ইউরো জয় আলভারো মোরাতার। ৩১ বছর ৮ মাসে এই নজির গড়লেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ইগর ক্যাসিয়াসের। ৩১ বছর ১ মাসে জিতেছিলেন তিনি। এদিন তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন মোরাতা। ইউরো কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল স্পেন। আরও দীর্ঘায়িত হল ইংল্যান্ডের ৫৮ বছরের অপেক্ষা। ১৯৬৬ সালের পর কোনও আন্তর্জাতিক ট্রফি নেই থ্রি লায়ন্সদের। এদিনও রানার্স তকমা নিয়েই থামতে হল। আগেরবার ইতালি, এবার স্পেন। তবে এদিন যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন স্পেন। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই ধারাবাহিক। তাঁদের গতিশীল পাসিং ফুটবল নজর কাড়ে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ইউরোর সেরা দলের জয়।
বিরতির পরই নিকো উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডানদিক থেকে লামিনে জামালের গোলের ঠিকানা লেখা পাস। চলন্ত বলে বাঁ পায়ের শটে নিখুঁত প্লেসিং। তার দু’মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়াতে পারত স্পেন। কিন্তু উইলিয়ামসের পাস থেকে বাইরে মারেন দানি ওলমো। নিশ্চিত সুযোগ মিস। গোলটা হয়ে গেলে তখনই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যেতে পারত। ইউরোর এক পর্বে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের নজির গড়লেন জামাল। মোট সংখ্যা চার। যা রেকর্ড। নিঃসন্দেহে ইউরোর আবিষ্কার ১৬ বছরের উইঙ্গার। আরও একটি অ্যাসিস্ট হতে পারত। কিন্তু ৫৫ মিনিটে মোরাতার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তার এক মিনিটের মধ্য উইলিয়ামসের শট বাইরে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ফোর্থ গিয়ারে শুরু করে স্পেন। ঝড়ের গতিতে আক্রমণে ওঠে। তাতেই আরও ছন্নছাড়া ফুটবল ইংল্যান্ডের। গোলের সুযোগ ছিল জামালের সামনেও। কিন্তু তাঁর শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান পিকফোর্ড।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে হ্যারি কেনকে তুলে ওয়াটকিন্সকে নামান ইংল্যান্ডের কোচ। সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় স্পেনকে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরান কোল পালমার। সেমিফাইনালে সুপার সাব হিসেবে নেমে গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন। এদিন গোল করলেন। সাকার থেকে বেলিংহ্যামের পা ছুঁয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ গোল পালমারের। এরপরও সুযোগ এসেছিল স্পেনের সামনে। ম্যাচের ৮২ মিনিটে সামনে একা ইংল্যান্ডের গোলকিপারকে পেয়েও তাঁর হাতে তুলে দেন জামাল। তবে সেই মহেন্দ্রক্ষণের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জয়সূচক গোল ওয়ারজাবাল। বাঁ দিক থেকে কুকুরেল্লার মাইনাসে ডান পায়ের আলতো পুশে গোল স্প্যানিশ সুপার সাবের।