আর কোনও যদি কিন্তু নয়। রাহুল দ্রাবিড়ের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় প্রত্যাশিত ভাবেই কোচ হলেন জোড়া বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। অপেক্ষা ছিল সরকারি ঘোষণার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ঘোষণা করে দিলেন। গৌতম গম্ভীরের কোচ হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। দেশের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা গৌতম গম্ভীর গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর ছিলেন। তার আগে লখনউ সুপার জায়ান্টসে দু-মরসুম মেন্টর ছিলেন। দু-বারই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল লখনউ। কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফিরতেই ট্রফিও আসে শিবির। ২০১২ ও ২০১৪ সালে জ্ঞজ্ঞট্ট-কে ক্যাপ্টেন হিসেবে দু-বার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। মেন্টর হিসেবে ফিরতেই চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। তখন থেকেই ভারতীয় দলের কোচের দৌড়ে ঢুকে পড়েন গৌতম গম্ভীর।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল ম্যাচের পর বোর্ড সচিব জয় শাহর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা হয় গৌতম গম্ভীরের। টেলিভিশনের পর্দাতেও তা ধরা পড়েছে। তখন থেকেই মনে করা হয়েছিল, বোর্ডের নজরে গম্ভীরই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবধি চুক্তি ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের। তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর দায়িত্বে থাকবেন না। নতুন করে আবেদন করবেন না, এটাও পরিষ্কার করেছিলেন দ্রাবিড়। বিশ্বকাপ চলাকালীনই গৌতম গম্ভীরের ইন্টারভিউ নেয় বোর্ডের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি। সঙ্গে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ ডব্লিউভি রমনও। প্রক্রিয়া মেনে গম্ভীরের নিয়োগে ইন্টারভিউ নিতেই হত।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গম্ভীরের নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে আলোচনার পর্যায়ে ছিল মূলত দুটো বিষয়। সাপোর্ট স্টাফ এবং কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। কেকেআরে তিন মাসের টুর্নামেন্টের জন্য় যে বেতন পেতেন, জাতীয় দলে ফুল টাইম কোচের নিরিখে কম বলা যায়। বেতন নিয়ে গম্ভীরের সঙ্গে বোর্ডের আলোচনা চলছিল বলেই জানা গিয়েছিল। আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়েছে বলাই যায়। সচিব জয় শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বোর্ডের তরফেও সরকারি ভাবে সংবাদমাধ্যমকে ই-মেলে এই নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।