শাশুড়ি, স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বেহালার বাসিন্দা সুমিত কুমার জানা। অফিসের ব্যস্ত সময় শুরুর আগেই বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে বাড়ি আর ফেরা হল না। দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়েতে হুগলির গুড়াপের কাছে লরি এসে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়িতে। পুলিশ সূত্রে খবর এই ঘটনায় প্রাণ গেছে সুমিত কুমার জানা (৫১), ইরা মান্না (৬৫)-র। সুমিতের স্ত্রী রামানিয়া, তাঁর দুই ছেলে সুরজিৎ ও সৌরদ্বীপ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় সুমিতবাবুর এক প্রতিবেশী জানান, ‘তারাপীঠে পুজো দেওয়া হয়ে গিয়েছে, বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল। তারপর বলেছিল, তাড়াতাড়ি ফিরে আসছে। তারপরই এই ঘটনা।’
এদিকে সুমিতবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, সুমিতবাবুর শাশুড়ি কিছুদিন আগেই মেয়ের কাছে এসেছিলেন। তাঁরই মূলত তারাপীঠে পুজো দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। তাই সপরিবারের রবিবার সুমিত কুমার জানা তাঁর শাশুড়ি ইরা, স্ত্রী রামানিয়া ও দুই ছেলেকে নিয়েগাড়ি করে বেহালার ১৬৩ নম্বর বনমালী ঘোষাল লেন থেকে ভোররাতে তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানা যাচ্ছে, তারাপীঠে পুজো দিয়ে ফেরার সময় দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়েতে হুগলি গুড়াপের বশিপুর এলাকায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চার চাকার গাড়িটি লরির নিচেই ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমিত জানা এবং শাশুড়ি ইরা মান্নার। ভোর রাতে রাস্তার ধারের কয়েক জন দোকানি দৌড়ে এসে আহতদের উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। স্ত্রী ও দুই ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপর খবর যায় বেহালার বাড়িতে।