রথের দিন বিকেলে ফের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। আনন্দপুর থানার অন্তর্গত পশ্চিম চৌবাগায় আগুন রবিবার বিকেলে আগুন লাগে। লেলিহান শিখা সর্বগ্রাসী হয়ে ছুঁয়ে ফেলে আকাশ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লেগেছে বলে খবর। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুনদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় আগুন নেভাতে আরও ইঞ্জিন প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার বিকেল নাগাদ রথ উৎসবে যখন মেতে উঠেছে শহরের নানা প্রান্তের মানুষজন। কিন্তু সেই আনন্দের রেশ কেটে দিল দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন। পশ্চিম চৌবাগা এলাকায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁরা খবর দেন দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমেই আগুন আয়ত্ত্বে আনার কাজ শুরু করে। এদিকে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় কারখানার সমস্ত গেট বন্ধ। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়েন দমকল কর্মীরা। এদিকে এই কারখানায় চলছিল কাজ। ফলে ভিতরে ছিলেন অনেকেই। বাকি শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতে পারলেও একজন ছাদের উপরে চলে যান। নানাভাবে ছাদ থেকে নামার চেষ্টাও করেন। তবে নামতে না পারায় আতঙ্কে ঝাঁপ দেন নিচে। মাথায় ও শরীরের নানা অংশে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিনের পশ্চিম চৌবাগার এই ঘটনা উস্কে দিল স্টিফেন কোর্টের স্মৃতি।
এরই মাঝে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে যাতে বড় ধরনের কোনও বিপদ না ঘটনায় সেই কারণেই আশেপাশের বাড়ি খালি করার কাজ শুরু হয়। যেখানে আগুন লাগে, তিনদিক থেকে তা ঘিরে দমকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রাথমিক ভাবে ৮টি ইঞ্জিন গেলেও পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন। নামানো হয় ড্রোনও।