মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছানি অপারেশন কাণ্ডের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের চিকিৎসক মহল। এরই মধ্যে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। সরকারি হাসপাতালে ছানি কাটাতে গিয়ে প্রায় ১৬ জনের দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত, ছত্রাক থেকেই সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে রোগীদের চোখে কীভাবে ছত্রাকের সংক্রমণ হল তা নিয়ে।
সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে একাধিক সম্ভাবনা থাকতে পারে বলেই মনে করছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওটি-তে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওটি রুমের জন্য সংক্রমণের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাহলে কি ছানি অপারেশনের পর বাড়ি ফিরে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন রোগীরা? তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মত, যদি হাসপাতালের বাইরে থেকে সংক্রমণ হয়, তাহলে তিন সপ্তাহ পর থেকে সমস্যায় ভুগতেন রোগীরা। কিন্তু এক্ষেত্রে অপারেশনের চারদিন পর থেকেই সমস্যা অনুভব করতে শুরু করেন রোগীরা।
এখনও পর্যন্ত যেভাবে ঘটনা পরম্পরা এগিয়েছে, তাতে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের অনুমান অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ফ্লুইড কিংবা কোনও চিকিৎসা সরঞ্জাম এই সংক্রমণের উৎস হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে ছানি অপারেশন কাণ্ডে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক বসছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। রাজ্যের ১০৪টি চক্ষু হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠকে থাকছেন জাতীয় অন্ধত্ব দূরীকরণ প্রকল্পের আধিকারিকরাও। চক্ষু বিভাগের প্রধানদের পাশাপাশি মাইক্রো বায়োলজির বিভাগীয় প্রধানদেরও বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে সংক্রমণ রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরাও। জানা যাচ্ছে, ওটি রুমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও জীবাণুমুক্তকরণ নিয়েই আলোচনা হবে এদিনের বৈঠকে।