সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০০৭ সালের পর ফের একবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। দুর্দান্ত টিম গেমেই বিশ্বজয়। রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক, অক্ষরদের পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতেও ভরসা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন রোহিত। পুরো টুর্নামেন্টে রান না পেলেও ফাইনালে সেরা ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। তবে সব কিছুর মাঝে আলাদা করে বলতে হয় বোলিং আক্রমণের কথা। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট অর্শদীপের (১৭)। কিন্তু বোলিং আক্রমণকে যে নেতৃত্ব এবং ভরসা দিয়েছেন তিনি জসপ্রীত বুমরা।
চোটের কারণে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি জসপ্রীত বুমরা। তাঁকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। কেরিয়ার শেষ, এমন কথাও বলা হচ্ছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ ছিল না। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৫। ইকোনমি ৪-এর সামান্য বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কার্যত অসম্ভব। অসাধারণ দক্ষতা না থাকলে এমন ইকোনমি হয় না। বুমরা তেমনই অসাধারণ একজন। টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ারের পুরস্কারও জিতেছেন বুমরা।
আজই দেশে ফিরেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিল ভারতীয় দল। ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক জসপ্রীত বুমরাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয়। সব শেষে এল বিশেষ মুহূর্ত। বুমরার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা ক্রীড়া সঞ্চালক সঞ্জনা গণেশন এবং পুত্রও। বিশ্বজয়ী টিমের সঙ্গে ছবি তুলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তেমনই জসপ্রীত বুমরার পরিবারকে দেখে আপ্লুত। বুমরার ছোট্ট ছেলেকে কোলে তুলে দিলেন স্নেহশীল দাদুর মতোই। একসঙ্গে ছবি তুললেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেছেন জসপ্রীত বুমরা। তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত বলেও বর্ণনা করেছেন তিন ফরম্যাটেই বর্তমানে বিশ্বের সেরা পেসার। এ বার মুম্বইতে টিমের সঙ্গে সেলিব্রেশনের পালা।