নিদস্ব প্রতিবেদন: ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে অনিয়ম রুখতে রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখন থেকে একমাত্র পরিবহন দফতরের নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন জানিয়েই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বীকৃত প্রায় সাড়ে পাঁচশো গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা ড্রাইভিং স্কুল-কে ওই পোর্টালে যুক্ত করা হচ্ছে। যদি কেউ নতুন গাড়ি চালানো শিখে লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করতে চান, তবে তাঁকে পরিবহণ দফতরের এই পোর্টালে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সঙ্গে জানাতে হবে তিনি কোন সংস্থা থেকে গাড়ি চালানো শিখছেন। তিনি কি ব্যক্তিগত কারণে না বাণিজ্যিক কারণে গাড়ি চালানো শিখেছেন আবেদনের সময় তাও উল্লেখ করতে হবে। সরকারের স্বীকৃত নয় এমন কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গাড়ি চালানো শিখলে তা লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানানো হয়েছে। একাধিক মোটর ট্রেনিং স্কুলের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবহণ সূত্রে জানা গেছে।
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে একের পর এক ‘মোটর ট্রেনিং স্কুল’। যেখানে নতুন গাড়িচালকদের গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গাড়ি চালানো শেখা শেষ হলে একটি শংসাপত্র পেয়ে যান তাঁরা। বহু ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় সেই সংস্থাগুলি নতুন চালকদের ‘লার্নার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স’ পাইয়ে দেন। যার ফলে বহু ক্ষেত্রেই পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার পরিবহণ দফতরের ‘সারথি’ পোর্টালে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপকদের আবেদন জানাতে হবে। বেসরকারি মোটর ট্রেনিং ßুñলগুলিকে শিক্ষা দিতে এই নতুন পদ্ধতি চালু করেছে পরিবহণ দফতর।