শেষ চারে যেতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। মাস্কম্যানের গোলও শোধ করে। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। ড্র করে বিদায় পোল্যান্ডের। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল পোল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচে চোটের জন্য ক্যাপ্টেন রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে পায়নি পোল্যান্ড। ডাচদের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও হেরেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যাপ্টেন ফিরলেও অস্ট্রিয়ার কাছে হার। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিততেই হত। সেটা আর হল না। এ বারের ইউরোতে অভিযান শেষ রবার্ট লেওয়ানডস্কিদের। গ্রুপ ডি আর এক ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয় অস্ট্রিয়ার। গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলোয় পৌঁছল অস্ট্রিয়া।
গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নেমেছিল পোল্যান্ড। লেওয়ানডস্কিদের কাছে মরণ বাঁচণ ম্যাচ। শেষ হল ১-১ ব্যবধানে। দুটোই পেনাল্টি গোল। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নাকে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন এমবাপে। সে কারণেই প্রোটেকটিভ মাস্ক পরে খেলতে হচ্ছে তাঁকে। ৭৯ মিনিটে রবার্ট লেওয়ানডস্কির পেনাল্টিতে গোল শোধ করে পোল্যান্ড। তাতেও লাভ হয়নি। তিন ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায়।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে হেরেছিল অস্ট্রিয়া। পুরো ম্যাচে দাপট ছিল তাদেরই। তবে আত্মঘাতী গোলটাই যাবতীয় লড়াই শেষ করে দেয়। সেই ধাক্কা থেকে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রিয়া। গত ম্যাচে তারা ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল পোল্যান্ডকে। শেষ ম্যাচ আরও রুদ্ধশ্বাস। শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নেমেছিল অস্ট্রিয়া। ৩-২ ব্য়বধানে জিতে গ্রুপ সেরা।
ম্যাচের ৬ মিনিটে ডনেল মালেনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাক ডাচদের। শুরুতেই সমতা ফেরান কোডি গাকপো। ৫৯ মিনিটে রোমানো শিমিডের গোলে ফের লিড নেয় অস্ট্রিয়া। কিন্তু এ বারও সমতা ফেরায় নেদারল্যান্ডস। ৭৫ মিনিটে গোল মেম্ফিস ডিপের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৮০ মিনিটে অস্ট্রিয়ার জয়সূচক গোল করেন মার্শেল সাবিৎজার। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রিয়া। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বেস্ট থ্রি টিম হিসেবে শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডসও।