দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ তুলে দেওয়ার নিদান মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের ভূমিকা নতুন করে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে পুর বৈঠকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘দীঘা এবং হলদিয়ার উন্নয়নের জন্য এখন সেখানে পুরসভা রয়েছে, পঞ্চায়েত রয়েছে, জেলাশাসক রয়েছে। উন্নয়ন পর্ষদ গুলিতে বিপুল সংখ্যক লোক ও পরিকাঠামো থাকলেও ঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। বরং সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
সভায় সকলের সামনে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, ‘দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রয়োজন আছে কি এখন আর? ওখানে তো পুরসভাও আছে, পঞ্চায়েতও আছে, জেলাশাসকও আছেন। বিরাট বাড়ি বানিয়ে ৪০০-৫০০ লোক কারও গা টিপছে, কারও পা টিপছে, কারও মাথা টিপছে। বড় বড় বিল্ডিং করে থাকছে, আরাম করছে। যেখানে সরকারের স্টাফ কম, সেখানে তাঁদের কাজে লাগিয়ে দাও।’
এই প্রসঙ্গে, নগরোন্নয়ন দফতর ও সচিবের ভূমিকাও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আরবান ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি, কী কাজ তাঁর? ডিপার্টমেন্টটা রাখারই দরকার কী? কতগুলি বোর্ড রেখে দিয়েছেন, ৪০০-৫০০ করে লোক রেখে দিয়েছে।’ শুধু দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদই নয়, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ নিয়েও একই মত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘হলদিয়াতেও তো পুরসভা রয়েছে। লাভ কী হল?’ মুখ্য সচিবকে পুনরায় এই উন্নয়ন পর্ষদগুলির প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজন না থাকলে আগামী দিনে এই উন্নয়ন পর্ষদগুলি ভেঙে দেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন ইঙ্গিত দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − eleven =