টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় প্রবল চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে সুপার এইটে। এ বার প্রথম দল হিসেবে গ্রুপ ২ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সুপার এইট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও আমেরিকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে এই প্রথম বার দুটি দল মুখোমুখি হল। আমেরিকাকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল ইংল্যান্ড।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। রানের গতি ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা করলেও সফল হননি আমেরিকার ক্রিকেটাররা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে কোরি অ্যান্ডারসনকে ফিরিয়ে বড় স্কোরের আশা শেষ করে দেন ক্রিস জর্ডন। মাঝের ওভারে দাপট দেখান লেগ স্পিনার রশিদ খান। ১৯তম ওভারে ক্রিস জর্ডনের হ্যাটট্রিকে মাত্র ১১৫ রানেই অলআউট বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক আমেরিকা।
এই গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের নেট রান রেট ০.৬২৫। ফলে আমেরিকার বিরুদ্ধে জয় এবং এই নেট রান ছাপিয়ে যেতে পারলেই প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল। ইংল্যান্ডের টার্গেট ছিল মাত্র ১১৬। তবে নেট রান রেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছাপিয়ে যেতে হলে ১৮.৪ ওভারের মধ্যে এই রান তুলতে হত ইংল্যান্ডকে। তবে জস বাটলার যেন অন্য মুডে ছিলেন। আরও আগেই ম্যাচ শেষ করার টার্গেট ছিল তাঁর। সেটাই করলেন।