তুরস্ককে উড়িয়ে ইউরো কাপের শেষ ষোলোয় পর্তুগাল

ইউরোর প্রথম ম্যাচে জর্জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে তাক লাগিয়ে গিয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু রোনাল্ডোদের বিরুদ্ধে কার্যত উড়ে গেল তুর্কিরা। শনিবার ডর্টমুন্ডে তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ ষোলোর ছাড়পত্র সংগ্রহ করে নিল পর্তুগাল। এদিনও স্কোরশিটে নাম তুলতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।‌ তবে অন্য একটি রেকর্ড করলেন। ইউরো কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট সিআরসেভেনের। মোট ৭টি গোলের পাস বাড়ান তিনি। যা টুর্নামেন্টের ১৯৬৮ সাল থেকে রেকর্ড। এদিন গোল করেন বার্নার্দো সিলভা এবং ব্রুনো ফার্নান্দেজ। অন্য গোলটি সামেত আকায়দিনের আত্মঘাতী। তবে এদিন নিঃস্বার্থ ফুটবল রোনাল্ডোর।‌ তৃতীয় গোলটা নিজেই করতে পারতেন। তুরস্কের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে বল পান পর্তুগিজ তারকা। সামনে এক বিপক্ষের গোলকিপার। নিজে না গোল করে ব্রুনোকে পাস বাড়ান। গোল করতে ভুল করেননি তাঁর সতীর্থ। বল জালে রেখেই ছুটে এসে রোনাল্ডোকে জড়িয়ে ধরেন।

ম্যাচের প্রথম থেকেই চাপ বাড়ায় পর্তুগাল। আগের ম্যাচে জর্জিয়াকে আটকে দেওয়ায় হোমওয়ার্ক করেই নেমেছিলেন রোনাল্ডোরা। বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি হলেও গোলমুখ খুলছিল না। তবে ছয় মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে যায়। প্রথম গোলের জন্য ২২ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় পর্তুগালকে। লিয়াওয়ের ক্রস থেকে গোল করেন বের্নার্দো। তুরস্কের রক্ষণের ভুলে ছয় মিনিটে পরে ২-০। ক্ষমাহীন ভুল। গোলকিপারকে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে নিজেদের গোলেই ঢুকিয়ে দেন আকায়দিন। বিরতির আগেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল।

এরপরও আধিপত্য তাঁদেরই ছিল। গোল সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগও এসেছিল। কিন্তু হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল তুরস্ক। তবে জর্জিয়ার বিরুদ্ধে যে ফুটবল দেখা গিয়েছিল, তার সিকিভাগ এদিন খেলতে পারেনি। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে রোনাল্ডোর পাস থেকে তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ব্রুনো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − three =