বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারিয়ে কার্যত সেমিফাইনালে অপরাজিত ভারত!

সেমিফাইনালে ভারত! অঙ্কে এখনই বলা যাবে না। তবে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত বলাই যায়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকালে আফগানদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া জিতলে, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দু-দলই সরকারিভাবে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে। ততক্ষণ ‘কার্যত’ শব্দটা ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫০ রানের বিশাল জয়। ব্যাটিং প্য়ারাডাইসে ফের নজর কাড়লেন জসপ্রীত বুমরা।

বাংলাদশকে ১৯৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। পাওয়ার প্লে-তেই বোলিংয়ে হার্দিক। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বাধিক ওপেনিং পার্টনারশিপ ছিল ১৩ রান। এই রানটা ছাপিয়ে যেতেই যেন ‘নৈতিক জয়’ বাংলাদেশের। তবে আস্কিং রেট বাড়ছিল। হার্দিকের বোলিংয়ে দুর্দান্ত একটা ছয় মারেন লিটন। পরের ডেলিভারিতেই ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ। একজন ডিপ ফিল্ডারই ছিলেন লেগ সাইডে। সেই সূর্যই দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ৩৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত ১ রানে জীবন পান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। বুমরার বোলিংয়ে আউটসাইড এজ। উইকেটের পিছনে এতটাই দ্রুত বল গিয়েছিল, ঋষভ পন্থ টাইমিং মিস করেন। বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো সব ক্যাচ নেওয়া পন্থের মিসে মুখ ঢাকেন বুমরাও। পাওয়ার প্লে-তে ৪২-১ বাংলাদেশ। এর মধ্যে বুমরার ২ ওভারে মাত্র ৬ রান।

বোর্ডে বিশাল টার্গেট। তবে বাংলাদেশ ব্যাটারদের দেখে মনে হচ্ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেই নজর। যত বেশি সময় ক্রিজে কাটানো যায়। দশম ওভারে কুলদীপ যাদবের বোলিংয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় তানজিদ হাসান তামিমের। ২৯ রান করলেও স্ট্রাইকরেট ৯৪-এর কম! ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৬৭। শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ছিল আরও ১৩০ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি ১৩। এখান থেকে মিরাকলই জেতাতে পারত বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার হিটার হিসেবেই পরিচিত তৌহিদ হৃদয়। এদিন হৃদয়ে কোনও ঝড় উঠল না। কুলদীপের বোলিংয়ে ফিরলেন মাত্র ৪ রানেই। স্পেলের চতুর্থ ওভারে কুলদীপকে স্ট্রেট বাউন্ডারিতে ছয় মারেন সাকিব আল হাসান। পরের বলেই তাঁকে ফেরান কুলদীপ। ১৪ ওভারে বাংলাদেশ ইনিংসের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। কুলদীপ যাদব ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।

বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বাধিক স্কোর ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্তর। ১ রানে জীবন পাওয়া কাজে লাগালেন। যদিও হাফসেঞ্চুরি হয়নি। ১৬তম ওভারে বুমরা আসতেই আউট। ৩২ বলে ৪০ রান করেন শান্ত। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকায় ভারতের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। স্পেলের শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট বুমরার। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। অবশেষে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + seventeen =