ইউরো কাপে আগের দিনই এমন চিত্র দেখা গিয়েছিল। ইতালির বিরুদ্ধে মাত্র ২৩ সেকেন্ডেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল আলবেনিয়া। যদিও দুর্দান্ত কামব্যাক করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ১০ মিনিটে বাস্তোনির গোলে সমতা ফেরায় এবং ১৬ মিনিটের গোলে লিড। শেষ অবধি ২-১ ব্যবধানেই জিতে মাঠ ছাড়ে ইতালি। এ দিন ইউরো কাপে গ্রুপ ডি-র প্রথম ম্যাচেও চিত্র অনেকটা এমনই। হাইভোল্টেজ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও হার ‘ক্যাপ্টেন-হীন’ পোল্যান্ডের।
ওয়ার্ম আপ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন পোল্যান্ডের তারকা ফুটবলার রবার্ট লেওয়ানডস্কি। প্রথম ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না, নিশ্চিত ছিল। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে লেওয়ানডস্কির ফেরা নিয়ে আশাবাদী পোল্যান্ডের কোচ। তাঁকে যে কতটা প্রয়োজন, ডাচদের কাছে হারের পর আরও বেশি করে টের পাচ্ছে পোল্যান্ড। শুরুটা ভালো করেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল পোলিশদের।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই অ্যাডাম বুকসার গোলে এগিয়ে যায় পোল্যান্ড। তাদের শিবিরে যেমন লেওয়ানডস্কির চোটে চিন্তা, ডাচদের মিডফিল্ডে একাধিক চোট। ফলে সেট হতে কিছুটা সময় লেগেছে। এরপরই ধামাকা। ১৩ মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করেন কোডি গাকপো। কাতার বিশ্বকাপের আগে থেকেই প্রবল আলোচনায় ছিলেন গাকপো। ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত খেলছিলেন। বিশ্বকাপেও নজর কেড়েছিলেন। এ বার ইউরোতে প্রথম ম্যাচেই গোল।
বিরতির আগে কোনও দলই আর স্কোর লাইনে বদল আনতে পারেননি। তবে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি আক্রমণ করেছে নেদারল্যান্ডস। অবশেষে জয়সূচক গোলের দেখা মিলেছে ৮৩ মিনিটে। ডাচদের জয়সূচক দ্বিতীয় গোলটি করেন ওট ওয়েহর্স্ট। ২০১২ সালের ইউরোতে তিন ম্যাচেই হেরেছিল নেদারল্যান্ডস। এরপর থেকে তাদের পারফরম্যান্স কিন্তু দুর্দান্ত। ইউরো এবং বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত থেকেছে। এর মধ্যে ৯টি জয়, একটি মাত্র ড্র। এ বারের শুরুটাও হল দুর্দান্ত।
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২১টি শট নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের কাছে ২০১২ সালের পর এটিই সর্বাধিক। এর আগে ২০১২ সালের ইউরোতে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ৩২টি শট নিয়েছিল ডাচ শিবির।