খোঁজ মিলল নিট পরীক্ষায় দুর্নীতির ব়্যাকেটের, ধৃত ৪

নিট নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক, তখনই খোঁজ মিলল বড় র‌্যাকেটের। ১০ লাখ টাকা দিলেই পাশ নিট পরীক্ষায়! এরপরই গুজরাট থেকে গ্রেফতার ‘চিটিং গ্যাং’। সূত্রে খবর, গ্রেফতার কোচিং সেন্টারের মালিক সহ ৪ জন। এর মধ্য়ে এক অভিযুক্তের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধারও করা হয়েছে।

ডাক্তারির পরীক্ষা নিট ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলেই সরব হন পরীক্ষার্থী থেকে সামজের আরও অনেকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গুজরাতের গোধরা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্তের নাম পরশুরাম রায়। তিনিই নিট পরীক্ষায় পাশ করানোর র‌্যাকেটের মূল মাথা।
জানা গিয়েছে, রায় ওভারসিজ কোম্পানি নামে একটি সংস্থা চালান পরশুরাম। তাঁর সঙ্গী তুষার ভাট। তিনি গোধরার জয় জলরাম স্কুলের শিক্ষক। এরা দুইজন মিলেই নিট পরীক্ষায় দুর্নীতির চক্র চালাত। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে, তার বিনিময়ে তাদের উত্তরপত্র লিখে দেওয়া হত। এর জন্য মাথা পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ‘রেট’ ধার্য করা হয়েছিল। এভাবেই তাঁরা ১২ কোটি টাকা তুলেছিল। তাদের আরও বড় পরিকল্পনা ছিল। পড়ুয়াদের থেকে কমপক্ষে ২৬ কোটি টাকা আদায় করার ছক কষেছিল অভিযুক্তরা।

বিষয়টি সামনে আসতেই জেলা শিক্ষা আধিকারিক গোধরা তালুকা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান। এরপরই তুষার ভাট ও পরশুরাম রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই ডিস্ট্রিক এডুকেশন অফিসারের নেতৃত্ব তদন্ত শুরু করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আরিফ ভাহোরা নামক এক যুবকের মাধ্যমেই দুর্নীতির চক্র চালানো হত। আরিফই পড়ুয়াদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করাত। অন্যদিকে, কোচিং সেন্টারের মালিক আরিফের মাধ্যমেই তুষার ভাটের কাছে ২৬ জন নিট পরীক্ষার্থীর যাবতীয় ডিটেইলস পাঠিয়েছিল। এদের মধ্যে ৬ জন পড়ুয়ার পরীক্ষার সিট পড়েছিল তুষার ভাটের জয় জলরাম স্কুলেই। বাকি ২০ পড়ুয়ার সিট পড়েছিল জয় জলরাম স্কুলের আরেকটি সেন্টারে। গুজরাত পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক তুষার ভাটের গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − ten =