টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ এ থেকে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করল ভারত। যদিও এই জয় সহজ ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। ভারতের বিরুদ্ধে অবশ্য অঘটন ঘটাতে পারেনি। সম্ভাবনা যে ছিল না, তা বলা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনবদ্য পারফর্ম করলেও একটা ক্যাচ মিস, পাঁচ রান পেনাল্টি তাদের পিছিয়ে দেয়। কেরিয়ার সেরা বোলিং পারফরম্যান্সে ভারতকে ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ রেখেছিল। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ১১১ রান। যদিও এই মাঠে এর আগে সর্বাধিক ১০৭ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল ভারত।
বোর্ডে ১১১ রানের টার্গেট থাকলেও এই পিচে ব্যাটারদের জন্য সহজ নয়। তার কারণ অসমান বাউন্স। অনেক ডেলিভারি হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে। কিছু ডেলিভারি হাঁটুর নীচে। ভারতের রান তাড়ায় শুরুতেই জোড়া ধাক্কা। ভারতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই গোল্ডেন ডাক বিরাট কোহলি। কয়েক বলের ব্যবধানে আউট ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুই ওপেনার এবং অভিজ্ঞ ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। দুটি উইকেটই নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঁ হাতি পেসার সৌরভ নেত্রভালকর। তাঁর হাতেই অবশ্য ম্যাচের রং বদলায়।
ইনিংসের মাঝপথে ভারতের স্কোর ছিল ৪৭-৩। আমেরিকার থেকে খুব একটা এগিয়ে ছিল না ভারত। সূর্যকুমার যাদব এবং শিবম দুবে দুর্দান্ত জুটি গড়েন। এর মধ্যেই চাপ তৈরি হয়েছিল। ভারতীয় ইনিংসের ১৩তম ওভারে ডিপ পয়েন্টে সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ মিস করেন সৌরভ নেত্রভালকর। সে সময় ২২ রানে ব্যাট ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। কাছের বন্ধু ক্যাচ ফেলায় জীবন পান। এরপর আর সুযোগ দেননি। অপরাজিত হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৮.২ ওভারেই ৭ উইকেটের জয় ভারতের।