বাঁকুড়ায় বজ্রপাতে মৃত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বাজ পড়ে বাঁকুড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখে পৃথক তিনটি বজ্রপাতের ঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানার আঁকুড়াবাইদ গ্রামে, মেজিয়া থানার তারাপুর গ্রামে ও জয়পুর থানার জুজুড় গ্রামে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়। জয়পুরের জুজুড় গ্রামে সরকারি জল প্রকল্পের কাজে যুক্ত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই একই কাজে যুক্ত আর এক পরিযায়ী শ্রমিক।
দীর্ঘ তীব্র দাবদাহের পর অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে সেই বৃষ্টিতে তাপমাত্রায় কিছুটা লাগাম পরায় স্বস্তি ফিরলেও, বজ্রপাতে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখে নিজের বাড়ির উঠোনে গোরু বাঁধার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বাঁকুড়া সদর থানার আঁকুড়াবাইদ গ্রামের গৃহবধূ পূর্ণিমা বাউরির। স্থানীয় একটি পুকুর থেকে স্নান করে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান মেজিয়া থানার তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃপ্তি সরকার। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের জুজুড় গ্রামেও।
জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে সরকারি জল প্রকল্পে পাইপ লাইন বসানোর কাজে স্থানীয় কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের রানিতলা এলাকা থেকে জয়পুরে এসেছিলেন বছর প¥চিশের জনি শেখ। কথা ছিল আগামী ১৫ জুন বকরি ইদ উপলক্ষে অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও ফিরে যাবেন মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখে যখন অন্যান্য ৫ জন শ্রমিকের সঙ্গে জয়পুর থানার জুজুড় গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছিলেন বছর পঁচিশের জনি শেখ, ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হলেও তাঁরা কাজ বন্ধ করেননি। আচমকাই বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই জনি শেখ সহ লুটিয়ে পড়েন তিন শ্রমিক। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে জনি শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় আহত অপর এক পরিযায়ী শ্রমিকের এখনও চিকিৎসা চলছে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − six =