ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম সংস্করণ সম্পূর্ণ হয়েছে। ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের গ্ল্যামার থেকে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের নজর এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তেমনই টিম ইন্ডিয়ারও লক্ষ্য এই ফরম্যাটে ১৭ বছরের ট্রফি খরা কাটানোর। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এরপর থেকে এই ফরম্যাটে আর বিশ্বকাপ আসেনি। ২ জুন শুরু এ বারের বিশ্বকাপ। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৫ জুন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তার আগে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১ জুন একটি ওয়ার্ম ম্যাচ খেলবে ভারত। নিউ ইয়র্ক পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করে দিল টিম ইন্ডিয়া।
আইপিএলের আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের অনেকেই সেই সিরিজে ছিলেন না। আইপিএলে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছেন। প্রথম প্র্যাক্টিস সেশনে তাই নজর ছিল বন্ডিং। ভারতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই নিউ ইয়র্ক পৌঁছে গিয়েছেন। বিরাট কোহলির মতো হাতে গোনা দু-একজন বাকি। ট্র্যাভেলিং রিজার্ভে না থাকলেও নেটে যাতে ভালো প্র্য়াক্টিস পাওয়া যায়, টিমের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যশ দয়ালের মতো বাঁ হাতি পেসারকেও।
প্রতিটি টুরেই দেখা যায়, প্রথম সেশনে মূলত নজর থাকে সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে। খুব বেশি শক্ত ট্রেনিং আগেই হয় না। টিমের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের তত্বাবধানে প্রথম প্র্যাক্টিস সেশনে হালকা ফিজিক্যাল ট্রেনিং এবং মজার অনুশীলনই দেখা গেল। ফুটভলি, হালকা রানিং, নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পার্কে কিছুটা সময় কাটানো।
দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারতের চতুর্থ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। মুম্বইয়ের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেন। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য সময়টা একেবারেই ভালো যায়নি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নেতৃত্বে হতাশ করেছেন। তেমনই পারফরম্যান্সেও। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর প্রথম বার জাতীয় দলে। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ন্যাশনাল ডিউটিতে আত্মবিশ্বাসী রোহিত শর্মার ডেপুটি হার্দিক পান্ডিয়া।