ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলা ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। দেশের জার্সিতে নজর কেড়েছেন। বাংলা ক্রিকেটেও। কিন্তু বছর দুয়েক আগে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে গিয়েছিলেন। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা ঋদ্ধিমান সাহার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অপমানজনক কথাও বলেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, সৌরভের সঙ্গেও মনোমালিন্য হয়েছিল ঋদ্ধির। এরপরই সর্বভারতীয় স্তরে ত্রিপুরার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সৌরভের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অভিমান মিটেছে, বলা যায়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মরসুমে বাংলার জার্সিতে ফিরতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিমান সাহার স্ত্রী রোমি ছবি পোস্ট করেছেন। সৌরভ গঙ্গোধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ। রয়েছেন ঋদ্ধিও। এরপরই প্রত্যাশা। ঋদ্ধির বাংলায় ফেরা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সৌরভের সঙ্গে অবশ্য অন্য কারণে অভিমান ছিল ঋদ্ধির। যা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। ঋদ্ধিমান সাহা একটা ফরম্যাটেই জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেট। সেখান থেকেও বাদ পড়েন ঋদ্ধি। কোচ রাহুল দ্রাবিড় পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, তাঁকে নিয়ে আর ভাবছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
টেস্ট টিমে ঋদ্ধির মতো সেফ কিপার থাকা কতটা জরুরি তা খুব ভালো ভাবেই টের পেয়েছে ভারতীয় দল। ঋষভ পন্থ চোট পাওয়ার পর আরও বেশি করে সেই খামতি ধরা পড়েছিল। যদিও ঋদ্ধিকে ফেরানো হয়নি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেনি ভারত। টিমে দক্ষ কিপার না থাকলেও ফেরানো হয়নি ঋদ্ধিকে।
দল থেকে বাদ পড়ার পর ঋদ্ধি প্রশ্ন তুলেছিলেন সৌরভকে নিয়েও। ঋদ্ধির দাবি ছিল, সৌরভ তাঁকে বলেছিলেন, বোর্ডে যতদিন আছেন, ঋদ্ধির কোনও সমস্যা হবে না। যদিও ঋদ্ধি টিম থেকে বাদ পড়েন। এরপরই মনোমালিন্য হয়। আপাতত সব ঠিকের দিকেই এগোচ্ছে।