শুরুটা রোলস রয়েসের মতো, ব্যাটিংয়ে খেই হারাল রাজস্থান রয়্যালস। বাঁ হাতের কামালে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন প্যাট কামিন্সদের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার ট্রফির ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ট্রফির লড়াইয়ে নামবেন কামিন্সরা। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই। ব্যাটিং বিভাগ চাপ সামলাতে পারল না। ধ্রুব জুরেল হাফসেঞ্চুরি করলেও ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল।
সানরাইজার্সের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শাহবাজ আহমেদ এবং পার্টটাইম অভিষেক শর্মার ৮ ওভারের স্পিন। ৪৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট এই জুটির। এটাই ম্যাচের রং বদলে দেয়। বিশেষ করে বলতে হয় শাহবাজের কথা। নিয়মিত সুযোগ পান না। এই ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে চরম বিপর্যয়ের সময় তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয়। ১৮ বলে ১৮ রান করেন। রানটা খুবই কম মনে হতে পারে। কিন্তু ক্লাসেনের সঙ্গে ২৫ বলে ৪৩ রানের পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাসেনের হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যেই ১৭৬ রানের টার্গেট সেট করে রাজস্থান রয়্যালস।
অব্যবহৃত পিচ। পরের দিকে শিশিরের প্রভাব থাকবে এই প্রত্যাশাই করেছিলেন রাজস্থান ব্যাটাররা। শুরুটাও দুর্দান্ত হয়। যশস্বী জয়সওয়াল ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। হঠাৎ পরিস্থিতি পাল্টে যেতে লাগল। শাহবাজ আহমেদ ফেরান যশস্বীকে। ২১ বলে ৪২ রান করেন রাজস্থানের বাঁ হাতি ওপেনার। সানরাইজার্স ব্য়াটিংয়ের অন্যতম ভরসা অভিষেক শর্মা এই ম্যাচে রান পাননি। তবে বল হাতে তা পুষিয়ে দিলেন। শিশিরের প্রভাব না থাকায় দুই বাঁ হাতি স্পিনার দাপট দেখান। অভিষেক নেন ২ উইকেট।
শেষ ওভারে ৪২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় রাজস্থান রয়্যালসের। সানরাইজার্স শিবিরে তখনই সেলিব্রেশন শুরু। ধ্রুব জুরেল ক্রিজে থাকলেও ততক্ষণে কার্যত ম্যাচের ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। শেষ অবধি ৭ উইকেটে ১৩৯ রান করে রাজস্থান। ৩৬ রানের জয়ে ফাইনালে সানরাইজার্স।