ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আমেদাবাদে এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফের এক বার তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক। রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচেই এমন এক বিতর্ক হয়েছিল। সেটি ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে। এ বার এলিমিনেটরে। দীনেশ কার্তিককে আউট দিয়েছিলেন অন ফিল্ড আম্পায়ার অনন্ত পদ্মনাভন। যদিও ডিআরএস নেন কার্তিক। এরপরই সিদ্ধান্ত বদলাতে বলা হয় মাঠের আম্পায়ারকে।
ইনিংসের ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রজত পাতিদারকে ফেরান আবেশ খান। পরের বলেই দীনেশ কার্তিক গোল্ডেন ডাক হতে পারতেন। তাঁকে লেগ বিফোর আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায়, বল প্যাডে লাগার সময় স্নিকোমিটারে স্পাইক রয়েছে। খুব দ্রুত তৃতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরি সিদ্ধান্তে পৌঁছন বল ব্যাটে লেগেছে। রাজস্থান শিবির প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ক্রিকেট ডিরেক্টর কুমার সাঙ্গাকারা ফোর্থ আম্পায়ারের সঙ্গেও কথা বলেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি।
এর আগে লিগ পর্বে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উইকেট নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। সঞ্জু দুর্দান্ত খেলছিলেন। বাউন্ডারি লাইনে তাঁর ক্যাচ নেন শেই হোপ। যদিও ক্যাচ নেওয়ার পর ভারসাম্য রাখতে পারেননি। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার জুম করে পা দেখেননি। সেক্ষেত্রে হয়তো নটআউটও হতে পারতেন রাজস্থান অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী শো-তে জুম ইন করে দেখা যায়, বাউন্ডারিতে পা ছুঁয়েছিল।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে জীবন পেলেও শেষ অবধি ১৩ বলে ১১ রানেই ফেরেন দীনেশ কার্তিক। তবে শূন্য থেকে সেটা অনেক ভালো আরসিবি শিবিরের জন্য। রাজস্থান শিবিরের কাছে অবশ্য অস্বস্তির।