ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জন্মলগ্ন থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলছেন বিরাট কোহলি। বেঙ্গালুরু শহরই তাঁর কাছে আরও একটা ঠিকানা হয়ে উঠেছে বহু আগেই। আইপিএলের ১৭তম সংস্করণ চলছে। যদিও আইপিএলে ট্রফির মুখ দেখেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ বারও খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবশেষে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে আরসিবি। এর জন্য বিশেষ কৃতিত্ব প্রাপ্য বিরাট কোহলির। ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিক ভরসা দিয়েছেন। আইপিএলে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১৬ সংস্করণে। এ বার নিজের সেই পারফরম্যান্স ছাপিয়ে যেতে পারেন বিরাট কোহলি। এমনটাই মনে করছেন প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার ম্যাথু হেডেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এক মরসুমে সর্বাধিক রানের রেকর্ড বিরাট কোহলির দখলেই। ২০১৬ মরসুমে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছিলেন বিরাট কোহলি। টিমকে ফাইনালেও নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৬ ম্যাচে করেছিলেন ৯৭৩ রান। এর মধ্যে চারটি সেঞ্চুরিও ছিল। ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ বার দুর্দান্ত ছন্দে বিরাট কোহলি। লিগ পর্বের ১৪ ম্যাচে ৭০৮ রান করেছেন বিরাট কোহলি। ফাইনাল অবধি উঠলে তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন বিরাট। ২০১৬-র সাফল্য ছুঁতে বিরাটকে তিন ম্যাচে আরও ২৬৫ রান করতে হবে। সম্ভব?
আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ম্যাথু হেডেন বলেন, ‘বিরাট কিন্তু ২০১৬ সালের আইপিএলের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে যেতেই পারে। ও যে ফর্মে রয়েছে তাতে এটা সম্ভব। সব কিছুর উর্ধ্বে আমার যেটা ভালো লাগে, খেলার প্রতি ওর ভালোবাসা, আবেগ, দায়বদ্ধতা এবং এনার্জি। ওর জন্য এই শব্দগুলো যেন কম। সেটা ব্যাট হাতেই হোক বা ফিল্ডিংয়ে। ওকে ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন।’
এ বারও অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিরাট কোহলি। ১৪ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি সহ ৭০৮ রান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড় প্লে-অফে নেই। তিনে রয়েছেন ট্রাভিস হেড। সানরাইজার্স ওপেনার করেছেন ৫৩৩ রান। বিরাটের সঙ্গে পার্থক্য অনেকটাই।