কয়েক দিন আগেই বিশ্ব মিটে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। বিশ্বের এক নম্বর টেবল টেনিস প্লেয়ার, চিনের সানকে হারিয়ে। ব়্যাঙ্কিংয়ের অনেক তলানিতে থাকা সত্ত্বেও এমন পারফরম্যান্স রীতিমতো চমকে দিয়েছিল বিশ্ব টিটি মহলকে। এমন চমক নতুন নয়। আর একটু পিছিয়ে গেলে মিলবে তেমনই সাফল্য। এশিয়ান গেমসে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গী করে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছিলেন ঐহিকা। টিটি বোর্ডে যতই হইচই ফেলে দিন, ফেডারেশন কর্তাদের খাতায় আঁচড় কাটতে পারেননি বাংলার প্লেয়ার। প্যারিস অলিম্পিকের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল ঐহিকার।
প্যারিস অলিম্পিকের জন্য ছেলে ও মেয়েদের টিম ঘোষণা করল সর্বভারতীয় টেবল টেনিস সংস্থা। ছেলেদের টিমে রয়েছেন শরথ কমল, হরমীত দেশাই ও মানব ঠক্কর। রিজার্ভে রয়েছেন জি সাথিয়ান। ২০১৮ ও ২০২২ সালের কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী দলের সদস্য হলেও সাতিয়ান জায়গা পাননি মূল টিমে। ছেলেদের টিমের হয়ে সিঙ্গলস খেলবেন শরথ কমল ও হরমীত। মেয়েদের টিমে জায়গা পেয়েছেন মনিকা বাত্রা, সৃজা আকুলা ও অর্চনা কামাত। রিজার্ভে রয়েছেন ঐহিকা। অর্থাৎ কোনও প্লেয়ার চোট পেয়ে ছিটকে গেলে তবেই মূল টিমে ঢুকতে পারবেন বাংলার মেয়ে। মেয়েদের টিমের হয়ে সিঙ্গল খেলবেন মনিকা ও সৃজা।
ঐহিকা কেন টিম থেকে বাদ পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গত বার অলিম্পিকে সুতীর্থা সুযোগ পেয়েছিলেন। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও উঠেছিল। এ বার কিন্তু বাংলার আর এক মেয়েকে বঞ্চিতই করা হল। ঐহিকার বদলে টিমে সুযোগ পাওয়া অর্চনা ব়্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু ব়্যাঙ্কিং দিয়েই কি সব বিচার করা হয়? ফর্ম কেন বিচার্য হবে না, তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন অনেকে। এশিয়ান গেমস, বিশ্ব মিটের সাফল্য কেন দেখা হবে না? বাংলার টেবল টেনিস মহল গর্জে উঠেছে।