নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: গ্রামে রয়েছে নলবাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা। কিন্তু সেই নল দিয়ে মাসের পর মাস মেলে না জল! এই অবস্থায় গ্রামজুড়ে শুধু পানীয় জল নয়, গৃহস্থালির ব্যবহারের জলেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে দাবি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা অথবা বিকল্প ব্যবস্থার দাবিতে রাস্তায় হাঁড়ি-কলসি নামিয়ে পথ অবরোধ করলেন গ্রামের মহিলারা। ঘটনা বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের সাতদেউলি গ্রামের।
বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লক এমনিতেই খরাপ্রবণ। এই ব্লকে ফি গ্রীষ্মে দেখা দেয় প্রবল জলকষ্ট। ব্লকের জলকষ্ট মেটাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে পাইপ লাইন বসানো হয়। পাইপ লাইন বসিয়ে বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হয় শালতোড়া ব্লকের সাতদেউলি গ্রামেও। কিন্তু সেই পাইপ লাইন দিয়ে জল মেলে না বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, হাজার আবেদন নিবেদনে শেষ পর্যন্ত ট্যাঙ্কারে করে গ্রামে জল সরবরাহের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। সম্প্রতি সেই ট্যাঙ্কার পাঠানোর বিষয়টিও অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ফের প্রবল জলসঙ্কটের মুখে পড়ে গোটা সাত দেউলি গ্রাম। হাতে গোনা কিছু পারিবারিক কুয়োর জলেই আপাতত তেষ্টা মিটছে গোটা গ্রামের।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন? কবে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে? জলসঙ্কট আরও কতটা তীব্র হলে তবে টনক নড়বে প্রশাসনের এমনই হাজারো প্রশ্ন নিয়ে শুক্রবার স্থানীয় শালতোড়া মেজিয়া রাজ্য সড়কের পাবড়া মোড়ে এসে হাজির হন স্থানীয় মহিলারা। রাস্তায় হাঁড়ি-কলসি নামিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ ওই রাজ্য সড়ক। পুলিশ ও প্রশাসনের অনুরোধেও আন্দোলনের বরফ গলেনি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কোনও শুকনো প্রতিশ্রুতি নয়, আগে জল তারপর অন্যকিছু। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পর পুলিশ ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের তরফে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি এবং প্রতিনিয়ত দু’বেলা পানীয় জল সরবরাহ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে।