সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নাকি রান-রাইজার্স হায়দরাবাদ! এ বারের আইপিএলে তাদের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে এমনটাই বলা যায়। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মাঝপথে খেই হারিয়েছে। গত ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরেছে সানরাইজার্স। ১২ পয়েন্টের ট্রাফিক জ্যামে আটকে ছিল চারটি দল। এর মধ্যে দুটি দল মুখোমুখি হয়েছিল এই ট্রাফিক জ্যাম থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে। সানরাইজার্স সেটাই করে দেখাল।
এ বারের আইপিএলের সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ। প্রায় প্রতিটি ম্যাচই শেষ হতে রাত ১১.৩০ টা পেরিয়েছে। সানরাইজার্সের ম্যাচ শেষ হয়ে গেল ১০.১৫-এর মধ্যেই। বোর্ডে টার্গেট ছিল ১৬৬ রান। সেই টার্গেট পেরোতে কতটা সময় লাগার কথা! অন্য দলের ক্ষেত্রে কী হত জানা নেই। ট্রভিস হেড এবং অভিষেক শর্মার অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটিতে ৫৮ বলেই লক্ষ্য পার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। নেট রান রেটও বাড়িয়ে নিলেন কামিন্সরা।
লোকেশ রাহুল টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। বোর্ডে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলাই লক্ষ্য ছিল। তাদের ব্যাটিংয়ের হাল এতটা খারাপ হবে সেটা হয়তো প্রত্যাশা করেননি। শেষ দিকে আয়ুষ বাদোনি এবং নিকোলাস পুরান ৫২ বলে ৯৯ রান যোগ না করলে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হত। বোর্ডে মাত্র ১৬৬ রানের টার্গেট। লো-স্কোরিং ম্যাচ! এমনটা ভাবার সুযোগই দেননি ট্রাভিস হেড ও ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত হিসেবে নামা অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লে-তেই একশো পার!
লখনউয়ের কাছে একটি মাত্র সুযোগ এসেছিল। শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ ফসকান যশ ঠাকুর। আর কোনও সুযোগই দেননি হেড কিংবা অভিষেক। ট্রাভিস হেড ৩০ বলে ৮৯ এবং অভিষেক ২৮ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন।