আরামবাগ: কল্যাণ ব্যানার্জি আরামবাগের মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে উঠতে দেয়নি এমনটাই অভিযোগ করলেন আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। যদিও আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার দীর্ঘক্ষণ সভা মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকেন। ক্যামেরা দেখেই মঞ্চর পিছন থেকেই পালিয়ে গেলেন অপরূপা পোদ্দার। আর এতেই তিতিবিরক্ত হয়ে শেষে এলাকা ছেড়েই চলে গেলেন তিনি। যাবার সময়ে বারবার একটা কথাই বলতে বলতে যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর হরিপালের দাদা বউদি আমাকে ঢুকতে দেয়নি। ওরা দলিত আর সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এরকমই করেন। কি আর বলব। আপনারা তো সবই ক্যামেরাবন্দি করেছেন।
এই বিষয়ে আরামবাগ লোকসভার দু’বারের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, আমি এখনও সাংসদ, দলের দু’বারের সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ মানুষের আশীর্বাদে সাংসদ হয়েছি। কিন্তু কল্যাণ ব্যানার্জি ও হরিপালের দাদা বউদির দল আমাকে মঞ্চে উঠতে দেয়নি। এরা এই ভাবেই সিডুলকাস্ট, দলিত ও সংখ্যালঘুদের অপমান করেন। এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, কালীপুর মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের যে ঘটনা ঘটেছে তা হতাশার ফল। মাঠ ভরাতে পারেনি। সাধারণ কর্মীরা যায়নি। অপরূপাকে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ার বিষয়টি তৃণমূলের সংßৃñতি। দেখবেন এক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সভা মঞ্চে উঠতে দিচ্ছে না অভিষেক ব্যানার্জি। চোর আর কাটমানি নেওয়ার একটা সভা ছিল। খারাপ লাগছে বিদায়ী সাংসদের জন্য। এক সময় তো জোড়ে জোড়ে মমতা ব্যানার্জি বলেছিল। মমতা ব্যানার্জির নির্দেশেই মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে হরিপালের বিধায়ক করবী মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দিদির মঞ্চে কে উঠবেন আর কে উঠবেন না সেটা দিদি ঠিক করেন। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল।