লো-স্কোরিং রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় রাহুলদের

হার্দিক পান্ডিয়ার আংশিক শাপমূর্তি হল! হয়তো বোলার হার্দিকের হল। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হার্দিক। কিন্তু ক্যাপ্টেন কিংবা ব্যাটার হার্দিকের নয়। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তাঁর বোলিং বিভাগ দুর্দান্ত পারফর্ম করে। মাত্র ১৪৪ রানেই আটকে রাখে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আর্শিন কুলকার্নিকে শূন্য রানে ফেরান হার্দিক। মার্কাস স্টইনিসের অনবদ্য ইনিংসে মনে হয়েছিল সহজেই জিতবে লখনউ। শেষ অবধি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হয়।

শেষ চার ওভারে লখনউয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ রান। ক্রিজে তখন নিকোলাস পুরান ও অ্যাস্টন টার্নার। হাতে ছয় উইকেট থাকায় চিন্তা হওয়ার কথা নয়। তবে বিপক্ষ শিবিরে জসপ্রীত বুমরার মতো বোলার থাকায় কাজটা সহজও ছিল না। বুমরার আর এক ওভারই বাকি ছিল। এই ওভার যেন কোনওরকমে কাটিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল পুরানদের। বুমরার ব্রিলিয়ান্ট ওভারে মাত্র ১ রান। ৪ ওভারের স্পেলে উইকেট না পেলেও বুমরা রান দেন মাত্র ১৭। বাকি তিন ওভারে ২২ রানের টার্গেট লখনউয়ের।

বুমরার ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় যেন স্বস্তিতে ছিল লখনউ। ১৮তম ওভারে জেরাল্ড কোৎজে বোলিংয়ে আসতেই ‘রান’ তোলায় নজর দেয় সুপার জায়ান্টস। প্রথম বলেই অ্যাস্টন টার্নারকে ফিরিয়ে মুম্বই শিবিরে আশার আলো দেখান কোৎজে। কিন্তু লেগ বাই সহ পরপর দুটো বাউন্ডারি আসতেই পাল্টা চাপে মুম্বই। শেষ দু ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১৩ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন ক্যাপ্টেন হার্দিক। প্রথম ডেলিভারিতেই রান আউটের সুযোগ। ঈশান কিষাণ প্রথম সুযোগে উইকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলেও দ্রুতই ভুল শুধরে নেন। খালি চোখে মনে হয়েছিল নট আউট! রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ারের বড় সিদ্ধান্ত। নিকোলাস পুরান কথা বলেন, আম্পায়ারের সঙ্গে। লোকেশ রাহুলও খুশি নন। ব্যাটের হ্যান্ডেল হাওয়ায় ছিল কিনা, এই নিয়েই প্রশ্ন। ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি আসায় স্বস্তি লখনউ শিবিরে। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩ রান। ৪ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =