সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ মামলার শুনানি স্থগিত, পরবর্তী শুনানি সোমবার

চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার। ফলে এখনও ঝুলে রইল চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষাকর্মীর ভাগ্য। জানা গিয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে তারা প্রস্তুত বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ওএমআর শিট তো ধ্বংস করা হয়েছে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করবেন কী করে?

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই রাজ্যের কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘চাকরির পরীক্ষার ওএমআর শিট কতদিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়?’ জবাবে রাজ্যের তরফে মুকুল রোহতাগি জানান, ১ থেকে ২ বছর সংরক্ষণ করা হয়। এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ওএমআর শিট তো ধ্বংস করে দিয়েছেন তাহলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক করবেন?’ জবাবে রাজ্য়ের আইনজীবী জানান, ‘বিকল্প পথ রয়েছে।’

তবে সে জবাবে আদালত যে মোটেও সন্তুষ্ট হয়নি তা বিচারপতির মন্তব্যেই স্পষ্ট। যদি যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার ব্যবস্থা থাকে তবে তা হাইকোর্টে জানানো হল না কেন? এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, টেন্ডার ছাড়াই নাইসাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। মিরর ইমেজ ছাড়াই নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট।

ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করলে রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, এই দুর্নীতি বিশাল বড়। এই দুর্নীতির সুবিধা কারা পেয়েছে? সেটা জানা দরকার। এদিকে চাকরিহারা আন্দোলককারীদের একটাই দাবি, কারা অযোগ্য তা নিশ্চিত করুক সুপ্রিম কোর্ট, সিবিআই, ইডি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − two =