টুয়েলভথ ম্যান। সব খেলাতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ৬০ হাজারের বেশি সমর্থক একসঙ্গে চিৎকার করলে যে কোনও প্রতিপক্ষর কাছেই তা বিপদের ঘণ্টা। যুবভারতীতে এমন পরিস্থিতিই হল ওডিশা এফসির। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জিতেছিল ওডিশা। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ১ গোলে এগিয়ে ছিল সবুজ মেরুন। সেখান থেকে ১-২ ব্যবধানে হার। হাবাসের টিমের ভরসা ছিল, দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াবোই।
রয় কৃষ্ণাদের ২-০ ব্যবধানে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় বার আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান। ম্যাচের আগে অনেক কথাই হয়েছে। বিশেষ করে বলতে হয় রয় কৃষ্ণার কথা। ওডিশা এফসির অন্যতম শক্তি। প্রথম লেগের ম্যাচে তাঁর গোলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। একটা সময় হাবাসের কোচিংয়ে খেলেছেন রয় কৃষ্ণা। কলকাতার এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই। প্রথম লেগে হাবাস তাঁকে আটকাতে পারেননি। দ্বিতীয় লেগে হাবাস বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই বস।
প্রথম লেগে ১-২ ব্যবধানে হারায়, আজকের ম্যাচে অন্তত ২-০ ব্যবধানে জিততে হত মোহনবাগানকে। লড়াইটা সহজ ছিল না। তবে গ্যালারি পাশে থাকলে সব সম্ভব। এ মরসুমে ডুরান্ড কাপ জিতেছে মোহনবাগান। আইএসএল লিগ শিল্ড জিতে ইতিহাস গড়েছে। এ বার আইএসএল নকআউট জয়েই নজর। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানকে এদিন ২২ মিনিটে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। তবে ১ গোল যথেষ্ঠ ছিল না। এগ্রিগেট ২-২। আরও একটা গোল প্রয়োজন। এর জন্য অপেক্ষা ক্রমশ বাড়তেই থাকে।
গরম যতই থাক। হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। বরং বাড়তি তাগিদ নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। সমর্থকরা যাতে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারেন, সেই লক্ষ্যই ছিল। অবশেষে তা পূরণ হয় অ্যাডেড টাইমে। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ২-০’র জয়ে টানা দ্বিতীয় বার আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান। এ বার অপেক্ষা ত্রি-মুকুটের।