ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বারের মরসুমে ব্যাটারদেরই দাপট। একের পর এক বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের বিজ্ঞাপন করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের যেন মাটিতে নামিয়ে আনল চেন্নাই সুপার কিংস। ড্যারেল মিচেলের হাতে যেন ‘ম্যাগনেট’ লাগানো ছিল। পাঁচটি ক্যাচ তাঁর হাতেই। রান তাড়ায় খাবি খেল সানরাইজার্সের বিধ্বংসী ব্যাটিং আক্রমণ। ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩৪ রানেই অলআউট সানরাইজার্স। ৭৮ রানের বড় জয়ে দুর্গ দখল করল চেন্নাই সুপার কিংস।
এ মরসুমে ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। গত ম্যাচে ২০০-র উপর রান করেও হার। লখনউ সুপার জায়ান্টস রেকর্ড গড়েছিল। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য ছিল মার্কাস স্টইনিসের। অপরাজিত শতরানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন। তার আগে লখনউয়ের মাঠেও হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। টানা দু-ম্যাচ হেরে প্রবল চাপে পড়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। খোঁচা খাওয়া চেন্নাই দুর্দান্ত ভাবেই ঘুরে দাঁড়ালো। আইপিএলের ইতিহাসে ১৫০তম জয় চেন্নাইয়ের।
ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে চেন্নাই। শুরুতেই রাহানের উইকেট হারায় সিএসকে। তবে ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় পরিস্থিতি সামাল দেন। গত ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হতে পারত ঋতুরাজের। ৯৮ রানে আউট হন চেন্নাই ক্যাপ্টেন। তিনে নামা ড্যারেল মিচেল হাফসেঞ্চুরি করেন। ক্যামিও ইনিংস খেলেন এ মরসুমেও দুরন্ত ছন্দে থাকা শিবম দুবে। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে চেন্নাই। সানরাইজার্সের যা ব্যাটিং আক্রমণ, এই স্কোর সুরক্ষিত বলা যায়নি।
চেন্নাই সুপার কিংস যেন গত ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। নতুন বল হোক বা পুরনো, অনবদ্য বোলিং এবং অবশ্যই ফিল্ডিং। নতুন বলে ধাক্কা দেন মিডিয়াম পেসার তুষার দেশপান্ডে। তেমনই ১৮তম ওভারেও অনবদ্য বোলিং। প্রতিপক্ষর উপর চাপ বাড়ান রবীন্দ্র জাডেজা। চার ওভারের স্পেলে মাত্র ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ইনিংসের মাঝপথে পাথিরানাকে আক্রমণে আনা হয়। মারক্রামকে ফিরিয়ে হায়দরাবাদকে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। ক্লাসেনকেও ফেরান পাথিরানা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না। এই জয়ে পয়েন্ট টেবলে তিনে উঠে এল চেন্নাই সুপার কিংস।